নগরবাসীকে নির্ধারিত স্থানে কোরবানি করার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন।
Advertisement
তিনি বলেন, নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানির সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া পশু কোরবানির পর কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে দেয়া বর্জ্য ব্যাগে বর্জ্য ভরে মুখ বন্ধ করে নিকটস্থ কন্টেইনারে ফেলবেন। যেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নগরীর বর্জ্য অপসারণ সম্ভব হয়।
শনিবার (১০ আগস্ট) নগরভবনে ডিএসসিসি আওতাধীন করদাতাদের মধ্যে অ্যারোসল স্প্রে বিতরণ কার্যক্রমের অনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
সাঈদ খোকন বলেন, সিটি কর্পোরেশন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে যে ব্যাপক কার্যক্রম চালাচ্ছে তার ফলে সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যা আল্লাহর ইচ্ছায় কমে আসবে বলে আশা করা যায়। ইতোমধ্যে নাগরিকরা এ বিষয়ে পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি সচেতন রয়েছে। তাদের মধ্যে জাগরণ সৃষ্টি হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সরকারি সব সংস্থা এ কাজে সম্পৃক্ত হয়েছে। নাগরিকদের জাগরণ এবং কর্পোরেশনের কার্যক্রম এ দুইয়ের সম্মিলনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যা দ্রুততম সময়ের মধ্যে কমে আসবে।
Advertisement
করদাতাদের অ্যারোসল স্প্রে ক্যান বিতরণকালে এডিস মশা যেন বংশ বিস্তার করতে না পারে সেজন্য আঙিনাসহ নিজ নিজ বাড়ি- ঘর, এসি, ফ্রিজ ফুলের টব পরিত্যক্ত ক্যান ইত্যাদিতে যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান মেয়র। একই সঙ্গে এডিস মশা যেহেতু ঘরের পর্দা আলমারি সোফা খাট ইত্যাদি অন্ধকার স্থানে লুকিয়ে থাকে তাই এসব স্থানে স্প্রে করার জন্য কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে দেয়া ক্যান ব্যবহারের পরামর্শ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত ২৫৯৯৭ বাড়ি পরিদর্শন করে ৮২৩টির লার্ভা ধ্বংস এবং স্কাউটের মাধ্যমে ১১০৭৬৫ ভবন পরিদর্শন শেষে ৬২২৩৭ বাড়ির লার্ভা ধ্বংসসহ নির্মাণাধীন ৯৫ ভবন মালিককে জরিমানা করা হয়েছে।
নগর ভবনস্থ মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরিফ আহমেদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডোর জাহিদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এএস/এএইচ/জেআইএম
Advertisement