জাতীয়

ট্রেনের ইঞ্জিনে-ছাদে চড়ে ঈদযাত্রা চলছেই

বিমানবন্দর রেলস্টেশনে মাঝে মাঝে মাইকে ঘোষণা দেয়া হচ্ছে বাম্পারে চেপে যাত্রা করবেন না। প্লাটফর্মে ‘ট্রেনের ছাদে, বাম্পারে ভ্রমণ করে জীবনের ঝুঁকি নিবেন না’ লেখা সম্বলিত বিলবোর্ডও সাঁটানো আছে। বিলবোর্ডের পাশ দিয়েই চলাচল করছেন রেলওয়ে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।

Advertisement

শনিবার (১০ আগস্ট) সকাল ১০টা ২ মিনিটে বিমানবন্দর স্টেশনে আসে তিতাস কমিউটার ট্রেন। রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিমানবন্দরে স্টেশনে আসা ট্রেনটির দুই বগির মাঝখানে বাম্পার/ইঞ্জিনে চেপে রয়েছেন কয়েকজন যাত্রী। ট্রেনটির কয়েকটি বগির ছাদেও যাত্রী দেখা যায়।

এ সময় এক আনসার সদস্যকে বাম্পারে বসা এক যাত্রীর সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। যাত্রীকে আনসার সদস্য জিজ্ঞাসা করেন, ‘টিকিট আছে কি-না।’ তবে এভাবে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত থেকে বিরত রাখতে কোনো কথা বলতে বা কর্মকাণ্ড দেখা গেল না আনসার সদস্যের।

নাম জানতে চাইলে জাগো নিউজকে ওই যাত্রী জানান সাদেক। ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী এ যাত্রী বলেন, ‘এইভাবে যাই না, ভিড় দেখে যাইতেছি। সরকারকে ট্রেন বাড়াইতে বলেন, তাহলে এভাবে যেতে হবে না।’

Advertisement

বাম্পারে যাত্রী যাতায়াতের ব্যাপারে আনসার সদস্যের মতোই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষও নিরব। তারা যেন বিলবোর্ড সাঁটিয়েই দায়িত্ব শেষ করেছেন।

এর আগে গতকাল শুক্রবারও (৯ আগস্ট) তিতাস কমিউটার ট্রেনের বাম্পারে করে যাত্রীদের যাতায়াত করতে দেখা যায়। বাম্পারে যাতায়াত বন্ধে বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মরণ চন্দ্র দাসকে জানানো হয়েছিল। এর পরদিন আবার দেখা গেল একই চিত্র।

শুক্রবার মরণ চন্দ্র দাস বলেছিলেন, ‘নিরাপত্তায় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, আনসার সদস্যরা রয়েছেন। তাদের দায়িত্ব ছাদে, দুই বগির জোড়ায় এবং ইঞ্জিনি চেপে কোনো যাত্রী যাওয়ার চেষ্টা করলে সেগুলো বন্ধ করা। এগুলো তাদের দায়িত্ব। আপনি তাদের সঙ্গে কথা বলেন।’

বিমানবন্দর সার্কেল রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চিফ ইন্সপেক্টরের সঙ্গে তার কার্যালয়ে গিয়ে কথা বলার চেষ্টা করা হয়। তিনি ‘এনার্জি না থাকায় কথা বলতে পারবেন না’ বলে জাগো নিউজকে জানান।

Advertisement

এর আগে গত রমজানের ঈদেও দুই ইঞ্জিনের মাঝখানে করে যাত্রা করতে দেখা যায় ঈদের ঘরমুখো যাত্রীদের।

পিডি/ এএইচ/এমকেএইচ