সম্রাট আর বাহাদুররা দখল করে নিয়েছে সিলেটের সর্ববৃহৎ ও স্থায়ী পশুর হাট কাজিরবাজার। আর রয়েল বিদ্যুৎ রয়েছে টিলা ঘরে। সিলেটে এই তিনটি গরুই এবারের কোরবানির পশুর হাটে সবচেয়ে বড় আকারের। ঈদুল আজহা উপলক্ষে ইতোমধ্যে জমে উঠেছে সিলেটের সর্ববৃহৎ পশুর হাট কাজিরবাজার। এখানে বিশাল আকৃতির গরুগুলো দেখতে ভিড় করছে উৎসুক জনতা। অনেকে সম্রাট, রয়েল বিদ্যুৎ, বাহাদুরের সঙ্গে সেলফি তুলতে ব্যস্ত।
Advertisement
সরেজমিনে দেখা যায়, কাজিরবাজারের মূল হাটে বিশাল আকৃতির একটি ফ্রিজিয়ান গরু উঠেছে। যার নাম দেয়া হয়েছে ‘সম্রাট’। ৩৫ মণ ওজনের সম্রাটই এখন পর্যন্ত সিলেটের বাজারের সবচেয়ে বড় গরু দাবি করে এর মালিক দাম চাইছেন ১২ লাখ টাকা। লম্বায় ১৫ ফুট ও উচ্চতায় ৬ ফুট সম্রাটের এখন পর্যন্ত দাম হয়েছে ৪ লাখ টাকা। তবে ১০ লাখ টাকার কম বিক্রি করবেন না বলে জানিয়েছেন সম্রাটের মালিক সিলেটের বড়ইকান্দি এলাকার শাহেদ আহমদ শান্ত। তার দাবি সম্রাটই এবারের কোরবানি ঈদে সিলেটের সবচেয়ে বড় গরু।
সম্রাটের ২০ গজ দূরেই রাখা হয়েছে বাহাদুর নামে ২২ মণ ওজনের আরও একটি দেশি জাতের গরু। বিশাল ও ধারালো শিংয়ের অধিকারী বাহাদুরের দাম চাওয়া হয়েছে ১০ লাখ টাকা। বিসমিল্লাহ এগ্রোর এ বছরের সবচেয়ে বড় পশু এটি। এছাড়া কাজিরবাজার জুড়ে আরও প্রায় ২০-২৫টি বিশাল আকৃতির গরু আকৃষ্ট করছে ক্রেতাদের। গরুগুলোর দাম চাওয়া হয়েছে ৫ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা।
এদিকে সিলেটের কাজিরবাজারে বড় বড় পশু আসলেও ক্রেতাদের চাহিদা ছোট গরুর। চাহিদা অনুযায়ী বাজারে ছোট গরু কম বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।
Advertisement
অন্যদিকে নগরের টিলাগড়ে আরও একটি বৃহৎ আকারের ষাঁড় এসেছে। যার নাম ‘রয়েল বিদ্যুৎ’। দাম চাওয়া হয়েছে ১০ লাখ টাকা। রয়েল বিদ্যুৎ নামের এ ষাঁড়টির ওজন প্রায় ৩২ মণ। বয়স ৬ বছর। লম্বায় ১৪ ফুট ও উচ্চতায় ৬ ফুট। জন্মও হয়েছে সিলেটে। এর আগের বছর এই ষাঁড়টি দেশের সবচেয়ে বড় কোরবানির পশুর হাট গাবতলীতে তোলা হলেও এ বছর তা তোলা হয়েছে সিলেটের বাজারে।
সিলেটের কোরবানির পশুর বাজারে এখন পর্যন্ত এটাই সবচেয়ে বড় গরু ‘রয়েল বিদ্যুৎ’ বলে দাবি সুরমা ক্যাটেল ফার্মের উদ্যোক্তা অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবু নোমানের।
ছামির মাহমুদ/আরএআর/এমকেএইচ
Advertisement