আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের কাউন্সিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড। একইসঙ্গে বিলুপ্ত কমিটির ১২ নেতার বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারেরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
Advertisement
শুক্রবার রাতে ছাত্রদলের কমিটি করার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের স্কাইপের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে ছাত্রদলের পরবর্তী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হবে। ঈদের পর ১৩ অথবা ১৪ আগস্ট ছাত্রদলের কাউন্সিলের দিন-ক্ষণ ও স্থান জানানো হতে পারে।
ছাত্রদলের কাউন্সিল উপলক্ষে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেন, ‘ছাত্রদলের কাউন্সিল ১৪ সেপ্টেম্বর করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এটা অফিসিয়ালি ঘোষণা দেয়া হবে। ছাত্রদলের যে ১২ জন বহিষ্কার করা হয়েছে তাদের বহিষ্কার আদেশও প্রত্যাহার করা হবে, তবে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেবেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
Advertisement
আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল, ২০০০ সালের আগে যারা এসএসসি পাস করেছে তারা কাউন্সিলে প্রার্থী হতে পারবেন না। তখন এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ছাত্রদলের ‘বয়স্ক’ নেতাদের একাংশ বিদ্রোহ শুরু করেন। বাদ পড়া নেতারা বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় সামনে টানা বিক্ষোভ করেন। ফলে ১৫ জুলাই কাউন্সিল করতে ব্যর্থ হন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। ক্ষুব্ধ নেতাদের সম্প্রতি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান স্কাইপের মাধ্যমে কথা বলে তাদের শান্ত করেন।
যদিও ক্ষুব্ধ ছাত্রদল নেতাদের ক্ষোভ প্রশমনে বিশেষভাবে কাজ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তারাই মূলত সমাধানের পথ বের করেন। তাদের বিশেষভাবে সহযোগিতা করেন সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আমিরুল ইসলাম খান আলীম, হাবিবুর রশিদ হাবিব, তাইফুল ইসলাম টিপু, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, নিপুণ রায় চৌধুরী, আব্দুল মতিন, আবু সাঈদ। বিদ্রোহীদের মধ্যে ইখতিয়ার রহমান কবির ও জহির উদ্দিন তুহিন।
বিএনপির সূত্রে জানা গেছে, আগস্টের শেষ দিকে ছাত্রদলের কাউন্সিলের ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বিতরণ ও জমা নেয়া হবে।
কেএইচ/জেএইচ
Advertisement