ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) চীন থেকে নিয়ে আসা মশার নতুন কীটনাশকের আনুষ্ঠানিক প্রয়োগ শুরু করেছে। ইতোমধ্যে ডিএনসিসির সবগুলো অঞ্চলে এটি পৌঁছেছে। খুব শিগগিরই সকল ওয়ার্ডে এটি পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
Advertisement
স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী তাজুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে এই কীটনাশক প্রয়োগ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।
শুক্রবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারে মন্ত্রী ও মেয়রের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে কীটনাশক প্রয়োগ শুরু করা হয়।
এ সময় মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘খুব কম সময়ে ও অধিক এলাকায় নাগরিক সেবা দিতে পিকআপ ট্রাক ও মোটরবাইকে ফগার মেশিন ও লার্ভিসাইড স্প্রেয়ার সংযোজন করা হয়েছে। আমরা অধিক লোকবল নিয়েছি, এলাকার জন্য কীটনাশকের বরাদ্দও বাড়ানো হয়েছে।’
Advertisement
মেয়র বলেন, ‘মশক কর্মীদের হেঁটে হেঁটে ওষুধ দিতে হয় বলে তাদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল, এখন হেঁটে হেঁটে এবং গাড়িতে করে দুভাবেই মশা নিধন হবে। একবার কীটনাশক দেয়া শেষ হলে গাড়িতে রাখা অতিরিক্ত কীটনাশক থেকে আবার রিফিল করতে পারবে। এর ফলে ওয়ার্ড অফিসে এসে রিফিল করার ঝামেলা এবং সময়ক্ষেপণ আর থাকবে না।’
এরপর মন্ত্রী তাজুল ইসলামসহ মেয়র মোহাম্মদপুর টাউন হল এলাকার বাজারের বিভিন্ন দোকান, আবাসিক ভবন এবং অলিগলি পর্যবেক্ষণ করেন এবং তাৎক্ষণিক আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে অলিগলির আবর্জনা পরিষ্কারের নির্দেশ দেন। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দাদের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন এবং মশার প্রজননস্থল হতে পারে-এমন কিছু জায়গা চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার সর্বাত্মকভাবে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করছে। আজ বন্ধের দিনেও আমরা এসেছি, আপনারা এসেছেন। সচিবালয়ে গেলে দেখবেন আমাদের মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দফতরের সকল কর্মকর্তা কাজ করছেন। এই ধারা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের গ্রাম পর্যায়ের দফতরেও অব্যাহত আছে। দুই সিটি কর্পোরেশনকে আমরা নতুন করে ১ হাজার ৬০০ কর্মী দিয়েছি।’
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে শিশুদের পাঠ্য বইয়ে সচেতনতামূলক অধ্যায় অন্তর্ভুক্তির তাগিদ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশেই দেখেছি শিশুদের পরিবেশ-পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্য সচেতনতার বিষয়ে এবং সংক্রামক রোগ যেমন- ডেঙ্গু বা এডিস মশার বিষয়ে পড়ানো হয়। ডেঙ্গু বিষয়ে আমাদের বছরের ৩৬৫ দিন কাজ করতে হবে। আমাদের সবার দায়িত্ব আছে। সরকার তার সব শক্তি প্রয়োগ করলেও শহরের সব বাসা পরিষ্কার করতে পারবে না, কিন্তু প্রতিটি বাড়ির মালিক যদি মাত্র একদিন নিজ উদ্যোগে কাজ করেন তাহলে একদিনেই শহরের সব বাড়ি পরিষ্কার করা সম্ভব হবে।’
Advertisement
এ সময় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোমিনুর রহমান মামুন, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মীর নাহিদ আহসানসহ ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এএস/এসআর/পিআর