বাতাসে জোর গুঞ্জন, ভারতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি আর সহ-অধিনায়ক রোহিত শর্মার মধ্যে ঝামেলা লেগে গেছে। তাদের সম্পর্কটা নাকি আর আগের মতো নেই। বেশ কিছু আচরণে অবশ্য এমন গুঞ্জনের পক্ষে যুক্তি পাওয়া যায়।
Advertisement
তবে যা কিছুই হোক না কেন, ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য এমন কিছুকে মঙ্গলজনক মনে করছেন না দলটির কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান সুনিল গাভাস্কার। তার ধারণা, কোহলি-রোহিতের মধ্যে ‘প্যাঁচ’ লাগিয়ে মাঝখান থেকে ফায়দা লুটছেন অন্য কেউ।
নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই গাভাস্কার বুঝতে পারছেন, এখানে ঝামেলা তৈরি করার চেষ্টা করছে অন্য কেউ। খেলোয়াড়ি জীবনে বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেবের সঙ্গে গাভাস্কারেরও এমন দ্বন্দ্বের খবর বেরিয়েছিল।
মূলত বিশ্বকাপে ভারতীয় দল সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে পড়ার পর থেকেই কোহলি-রোহিতের দ্বন্দ্বের খবর সম্মুখে আসতে থাকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের স্ত্রীরাও বিভিন্ন আচরণে বুঝিয়ে দেন, কিছু একটা হচ্ছে।
Advertisement
তবে গাভাস্কার এমন দ্বন্দ্বের পেছনে দেখছেন ভেতরের এক কারণ। কিংবদন্তি এই ব্যাটসম্যান তার অভিজ্ঞতা থেকে বলছেন, দুই অধিনায়কের মধ্যে ঝামেলা বাঁধাচ্ছেন ড্রেসিংরুমেরই কেউ।
গাভাস্কার মনে করছেন, দলে সুযোগ না পেয়ে অথবা কম সুযোগ পেয়ে হতাশায় পোড়া কোনো খেলোয়াড়ই এমন খবর ছড়াচ্ছেন। তবে যে-ই এটা করছেন, সেটা হতাশা থেকে এবং ভারতীয় দলের মঙ্গল চান না ওই খেলোয়াড়। ভবিষ্যতেও দেশের ক্রিকেটের ক্ষতি হবে তার দ্বারা, সতর্ক করে দিয়েছেন গাভাস্কার।
গাভাস্কার জানালেন, ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে যখন ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার টেস্ট থেকে কপিল দেবকে বাদ দেয়া হয়, তখন তাকে দোষী করেন সবাই। অথচ ওই সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলেন তৎকালীন নির্বাচক কমিটির হানুমন্ত সিং।
কপিলের সঙ্গে তার দ্বন্দ্বের ওই গুঞ্জন ২০ বছর পর আজও থামেনি, মনে করেন গাভাস্কার। তবে কোহলি আর রোহিত খুব পেশাদার। তারা এই ঝামেলা কাটিয়ে দেশকে একসঙ্গে আরও ম্যাচ জেতাবেন, আশা তার।
Advertisement
এমএমআর/এমকেএইচ