দেশজুড়ে

নৌবাহিনীর কর্পোরালসহ তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে পৃথক সড়ক দুুর্ঘটনায় নৌবাহিনীর কর্পোরাল ও এক শিশুসহ তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

Advertisement

নিহতরা হলেন নৌবাহিনীর কর্পোরাল ঢাকা সদর দপ্তরের কর্মরত নাটোরের আটদিঘা এলাকার বাসিন্দা মৃত. কাশেমের ছেলে নাজমুল হোসেন (২৭), মির্জাপুর উপজেলার হারিয়া গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ছবুর মিয়ার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৬০) ও পার্শ্ববর্তী বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের শামীম আল মামুনের মেয়ে সামিয়া আক্তার (১০)।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার ভোর পাঁচটার দিকে মোটরসাইকেলযোগে ঢাকা থেকে নাটোর যাচ্ছিলেন নাজমুল হোসেন ও তার সহকর্মী কর্পোরাল জাহাঙ্গীর হোসেন। পথে সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এসময় পেছন থেকে একটি ট্রাক নাজমুলকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

এছাড়া সকাল ১০টার দিকে ছেলে ডাচ বাংলা ব্যাংকে কর্মরত সোহাগ মিয়ার সঙ্গে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি যাচ্ছিলেন সুফিয়া বেগম। পথে মহাসড়কের কালিয়াকৈর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেল থেকে দুজন রাস্তায় ছিটকে পড়েন। এসময় উত্তরাঞ্চলগামী বাসের চাপায় ঘটনাস্থলেই সুফিয়া মারা যান। দুুর্ঘটনায় আহত সোহাগ মিয়াকে মির্জাপুরের ন্যাশনাল ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে।

Advertisement

অপর দুর্ঘটনাটি ঘটে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার কদিম ধল্যা নামক স্থানে। নানার বাড়ি মির্জাপুর উপজেলার মুশুরিয়াঘোনা থেকে চাচা শাহিন মিয়ার সঙ্গে মোটরসাইকেলযোগে বাড়িতে যাচ্ছিল সামিয়া আক্তার। পথে মহাসড়কে মির্জাপুর উপজেলার কদিমধল্যা বাসস্ট্যান্ডে পেছন থেকে একটি বাস মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই সামিয়া মারা যায়। এছাড়া গুরুতর অবস্থায় আহত চাচা শাহিন মিয়াকে (৩৫) মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে থানা পুলিশের ওসি মো. রায়েজুল ইসলাম জানান, নিহতদের মধ্যে কর্পোরাল নাজমুল হোসেনের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া অন্য দুই মৃতদেহ হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে। আইনি পক্রিয়া শেষে তাদের মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এস এম এরশাদ/এমএএস/পিআর

Advertisement