জাতীয়

‘৫০০ টাকা পড়তা হলেই গরু দিমু বাবা’

‘পাঁচশ টাকা পড়তা হলেই গরু দিমু বাবা’- এভাবেই একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণকে বলছিলেন গরু বিক্রেতা। অবসরপ্রাপ্ত ওই প্রবীণ ছেলেকে নিয়ে এসেছেন গরু কিনতে। ৯৫ হাজার টাকা গরুর দাম চেয়েছেন বিক্রেতা। প্রতি-উত্তরে ক্রেতা দাম বলেছেন ৬০ হাজার টাকা।

Advertisement

বিক্রেতা বললেন, এগলা গরু (এই রকম গরু) গ্রামের বাজারেই ১ লাখ টাকা দাম চায় বাবা। আপনে দাম কন, পাঁচশ টাকা পড়তা (লাভ) হলেই গরু দিমু বাবা।’ ক্রেতা চলে যেতে যেতে বললেন, ‘এই দামে গরু কেনা যাবে না।’ পরক্ষণেই আলাপ হয় ওই বিক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি একটু আগেই হাটে আইছি। গরু বেচুম। আজকাই বেচুম। আমার কাছ থেকে গরু কিনতে না পারলে আর কার কাছে পারব? ঘুইরা আমার কাছেই আহা লাগব।’

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ থেকে ৪০টি গরু নিয়ে এসেছেন মো. এরশাদ। প্রতি সপ্তাহে গাবতলী গরুর হাটে গরু বিক্রি করলেও ঈদের বিক্রির জন্য এসেছেন রাজধানীর রামপুরার আফতাবনগরে। প্রায় ৭-৮ বছর ধরে এই হাটেই গরু বিক্রি করছেন। গত বছর এই হাটে ৫৫টি গরু বিক্রি করেছিলেন। এবার ৬ জন মিলে এসেছেন। তিনি বলেন, এবারের বাজার ভালো যাবে। গরু যা আসার আসছে। ঢাকায় আসার আগ্রহ কম।

আজ শুক্রবার সরেজমিনে হাট ঘুরে দেখা যায়, হাটে প্রচুর ক্রেতার আগমন ঘটেছে। সেই হিসেবে বিক্রি তেমন একটা এখনো শুরু হয়নি।

Advertisement

এইউএ/এসআর/পিআর