দেশজুড়ে

সাভারে ঘরমুখো মানুষের চাপ, যানজটে চরম দুর্ভোগ

আসন্ন ঈদুল আজহায় ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনে সাভারের মহাসড়কগুলোতে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে। অতিরিক্ত এই চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

Advertisement

এদিকে একযোগে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে কর্মজীবী, পেশাজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন পরিবার পরিজন নিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছেন। তবে যানবাহন সংকট ও মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। বিষয়টি দেখভালের দায়িত্বে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর সদস্যরা বলছেন মহাসড়কে কোনো যানজট নেই, তবে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপের কারণে যানবাহনগুলো কিছুটা ধীরগতিতে চলাচল করছে। সরেজমিনে ঢাকা-আরিচা, নবীনগর-চন্দ্রা, ও বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর মহাসড়ক ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি সড়কেই যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ। এতে করে গাড়ি চলাচলে কিছুটা ধীরগতির পাশাপাশি কয়েকটি পয়েন্টে তীব্র যানজটও লক্ষ্য করা গেছে। এ সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থেকে ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘরমুখো যাত্রীরা।

দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের হেমায়েতপুর, ফুলবাড়িয়া, উলাইল, গেন্ডা, সাভার রেডিওকলোনি, সিএন্ডবি, বিশমাইল, নবীনগর, নয়ারহাট, ঢুলিভিটা, নবীনগর-চন্দ্র মহাসড়কের বাইপাইল, ইপিজেড, ভলিভদ্র বাজার, জিরানী ও চন্দ্রা বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কের আশুলিয়া বাজার, জিরাবো, নরসিংহপুর, জামগড়া এবং ইউনিক- প্রতিটি পয়েন্টেই যানবাহনের চাপ বেড়েছে।

অতিরিক্ত চাপ এবং রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠানামা ও লেন না মেনে যে যার মতো চলাচল করায় কোথাও কোথাও তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমানে সাভারের উপর দিয়ে যাওয়া তিনটি মহাসড়কে প্রায় ৩০ কিলোমিটার যানজট রয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী যাত্রীরা।

Advertisement

চালক ও যাত্রীরা জানান, শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকে মহাসড়কগুলোতে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। ঈদের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ঘরমুখো মানুষের চাপ সামাল দিতে মহাসড়কে যানবাহনেরও সারিও দীর্ঘ হচ্ছে। ফলে পাঁচ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে সময় লাগছে ঘণ্টারও বেশি।

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) সাইদুর রহমান বলেন, ঈদের ছুটি পেয়ে পোশাক শ্রমিকরা বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন। শুক্রবার হওয়ায় গাড়ির চাপ একটু বেশি। বৃহস্পতিবার রাতে সড়কে যে যানজট ছিল শুক্রবার ভোরে তা ঠিক হয়ে যায়। তবে সকাল থেকে আবারও গাড়ির চাপ বেড়ে গেছে। পুলিশ যানজট নিরসনে ২৪ ঘণ্টাই সড়কে কাজ করছেন। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি যানচলাচল স্বাভাবিক হবে।

আল-মামুন/এমএমজেড/এমকেএইচ

Advertisement