ঢাকার কমলাপুর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী তিতাস কমিউটার ট্রেন বিমানবন্দর স্টেশনে সকাল ১০টায় আসার কথা থাকলেও আসে ৪০ মিনিট দেরিতে।
Advertisement
ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষে ট্রেনটির ভেতরে কানায় কানায় পূর্ণ। ট্রেনের প্রতিটি দরজার সামনে যাত্রীদের লম্বা সারি। কেউ এক পায়ে ভর দিয়ে ঝুলে আছেন। ট্রেনের ভেতরে জায়গা হওয়ার সম্ভাবনা না দেখে অনেকে ছাদে উঠেছেন। আবার কেউ কেউ দুই বগির মাঝখানের ইঞ্জিনে চেপেও যাত্রা করছেন!
শুক্রবার (৯ আগস্ট) ওই সময় ট্রেনটির ইঞ্জিনে চেপে দু’জনকে যাত্রা করতে দেখা যায়।
তাদের একজনের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়। সুমন নামে পরিচয় দেয়া সেই তরুণ বলেন, ‘সমস্যা নাই, পড়ব না।’ তাকে এভাবে বসে থাকতে দেখে স্টেশনে অপেক্ষমাণ যাত্রী ও আশপাশের মানুষেরা হকচকিয়ে যান।
Advertisement
সবাই নামতে বললে সুমন বলেন, ‘ট্রেনের ভেতরে যেতে পারি নাই। ছাদে উঠতে পারছি না।’
এরই মধ্যে তিতাস কমিউটার ছেড়ে দেয়। এরপর আরেকজন মধ্যবয়সী ব্যক্তিকে একই কায়দায় বগিতে চেপে যাত্রা করতে দেখা যায়। ট্রেন চলন্ত থাকায় মলিন কাপড় ও রুগ্ন দেহের এই যাত্রীর সঙ্গে কথা বা নামার আহ্বান জানানো সম্ভব হয়নি।
বিষয়টি বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মরণ চন্দ্র দাসকে জানালে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘রেলওয়ের নিরাপত্তায় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, আনসার সদস্যরা রয়েছেন। তাদের দায়িত্ব ছাদে করে, ইঞ্জিনে চেপে যাওয়ার চেষ্টা করলে, সেগুলো বন্ধ করা। এগুলো তাদের দায়িত্ব। আপনি তাদের সঙ্গে কথা বলেন।’
বিমানবন্দর সার্কেল রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চিফ ইন্সপেক্টরের সঙ্গে তার কার্যালয়ে গিয়ে কথা বলার চেষ্টা করা হয়। এ সময় তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘কথা বলতে পারব না। এনার্জি নাই।’
Advertisement
বিষয়টি জানালে স্টেশন মাস্টার মরণ চন্দ্র দাস বলেন, ‘রেলওয়ে পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন না করলে তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব বা জানাই।’
এ ক্ষেত্রে অভিযোগটি জানাবেন কি না? এর উত্তর দেননি এই স্টেশন মাস্টার।
এর আগেও গত রমজানের ঈদেও দুই ইঞ্জিনের মাঝখানে করে যাত্রা করতে দেখা যায় যাত্রীদের।
পিডি/জেডএ/এমএস