দেশজুড়ে

ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়ছে দৌলতদিয়ায়

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়তে শুরু করেছে।

Advertisement

শুক্রবার সকাল থেকেই দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাট, ফেরি ঘাট ও বাস টার্মিনাল এলাকায় পাটুরিয়া থেকে আসা ঘরমুখো মানুষের চাপ লক্ষ্য করা গেছে।

এছাড়া দৌলতদিয়া প্রান্তের প্রায় তিন কিলোমিটার সড়কে যানবাহনের সিরিয়াল রয়েছে। তবে এর মধ্যে সবগুলো নয়, কিছু যানবাহন নদী পার হবে। সিরিয়ালে থাকা গাড়ির মধ্যে লোকাল যানবাহনও রয়েছে।

এদিকে দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে ঢাকামুখী পশুবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস পারাপার চলমান রয়েছে। ঘাটে কিছু সময় অপেক্ষার পরই ফেরিতে উঠতে পারছে বাস, পশুবাহী ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহন।

Advertisement

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার থেকেই ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে। আজ (শুক্রবার) সকাল থেকে সেই চাপ আরও বেড়েছে। সেই সঙ্গে ছোট ব্যক্তিগত গাড়ির চাপও রয়েছে। তবে ভোগান্তি ছাড়াই যাত্রীরা পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়া হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন।

আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও যানজট স্বাভাবিক রাখতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘাট এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দ্বায়িত্ব পালন করছেন। সেই সঙ্গে রয়েছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে এই নৌপথে ছোট বড় মিলিয়ে মোট ১৮টি ফেরি ও ৩৪টি লঞ্চ চলাচল করছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘরমুখী ও ঢাকামুখী যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ঘরমুখো যাত্রীরা বলেন, প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছেন তারা। দৌলতদিয়া পর্যন্ত আসতে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। তবে রাস্তায় মাঝে মাঝে জ্যামে পড়েছেন, ভাড়া কিছুটা বেশি নিয়েছে।

দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটের সুপার ভাইজার মো. মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, সকাল থেকেই লঞ্চে আসা ঘরমুখো মানুষের চাপ রয়েছে। যাত্রী নামিয়ে দিয়েই লঞ্চগুলো পাটুরিয়া চলে যাচ্ছে।

Advertisement

বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, বর্তমানে এ রুটে ছোট বড় ১৮টি ফেরি চলাচল করছে। আজ স্বাভাবিক ভাবে যাত্রী ও যানবাহনগুলো পারাপার হচ্ছে, সিরিয়ালে আটকে থাকতে হচ্ছে না। ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়লেও ফেরি থেকে নেমে তারা ভোগান্তি ছাড়াই সরাসরি মূল সড়কে চলে যাচ্ছেন। ঈদের মৌসুম হওয়ায় যানবাহনের চাপ হতেই পারে।

রুবেলুর রহমান/এমএমজেড/এমএস