কাশ্মীরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়গুলোকে সহায়তার আহ্বান জানিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, যদি সৎ সাহস থাকে তাহলে কাশ্মীর থেকে ভারতের সামরিক বাহিনী সরিয়ে নেয়া উচিৎ।
Advertisement
৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের আগে রোববার সন্ধ্যা থেকেই কাশ্মীরের সঙ্গে সব সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় ভারত। জারি করে কারফিউ। এ বিষয়টি উল্লেখ করে ইমরান খান বলেন, যখন কারফিউ তুলে নেয়া হবে তখন কাশ্মীরিদের সঙ্গে কী ঘটবে, তা দেখার জন্য পুরো বিশ্ব তাকিয়ে আছে।
এক টুইট বার্তায় ইমরান খান বলেন, কাশ্মীরে বিশাল সামরিক বাহিনী মোতায়েন করে ভারতের বিজিপি সরকার কী ভাবছে, এটা কি স্বাধীনতা আন্দোলনকে দমাতে পারবে? বরং আন্দোলন আরও তীব্র হবে।
কাশ্মীরে ব্যাপক সহিংসতার আশঙ্কায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আশ্চর্য হয়েছেন। তিনি বলেছেন, এ সঙ্কট কাটানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়গুলোর আদৌ নৈতিক সাহস আছে কি?
Advertisement
সোমবার ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা-সংক্রান্ত ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল হয়ে যাওয়ার পর থেকেই থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে এই পদক্ষেপের আগেই কাশ্মীরে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়।
জম্ম-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত সংবিধানের অনুচ্ছেদ বাতিলের বিষয়ে পাকিস্তান বলছে- এটা একতরফা এবং অবৈধ। বিষয়টি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তোলা হবে।
৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর কাশ্মীর কার্যত বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কিন্তু এর মধ্যেও বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারফিউ জারি রয়েছে এবং অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যেই বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করছেন ক্ষুব্ধ কাশ্মীরিরা। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ফাকা গুলি ছুড়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এতে কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও শতাধিক মানুষ।
এমএসএইচ/এমএস
Advertisement