নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি রফতানিমুখী পোশাক কারখানায় বেতন-বোনাসের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভের জেরে পুলিশ ও শ্রমিকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পুলিশের গুলি-টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশ ও শ্রমিক মিলে ২০ জন আহত হয়েছেন।
Advertisement
বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফতুল্লার ভুইগড় এলাকায় জাজ অ্যাপারেল নামক কারখানা শ্রমিকদের সঙ্গে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে এ ঘটনা ঘটে।
শ্রমিকরা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে তাদেরকে পুলিশ সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেট করে। এ সময় পুলিশ ৪৫ রাউন্ড শর্টগানের ও পাঁচ রাউন্ডের মতো গ্যাসগানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
পোশাক শ্রমিক সামছুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের পাঁচ মাসের ওভারটাইম ও দুই মাসের বকেয়া বেতন চাইলে মালিকপক্ষ দেই-দিচ্ছি বলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বকেয়া বেতন চাইলে দুই শ্রমিককে অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে মারধর করে। এনিয়ে প্রতিবাদ জানাতে কারখানার পাঁচ শতাধিক শ্রমিক লিংক রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে পুলিশ আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। তখন কিছু শ্রমিক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে।
Advertisement
জাজ অ্যাপারেলের এজিএম আবুল কালাম আজাদ বলেন, শ্রমিকদের অভিযোগ মিথ্যা। তারা চলতি মাসের বেতন পাবে আর ঈদ বোনাস। এতে মালিকপক্ষ থেকে বলা হয়েছে এখন মাস শেষ হয়নি তাই অর্ধেক মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস দেয়া হবে। কিন্তু শ্রমিকরা তা না মেনে কারখানায় ভাঙচুর করে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন বলেন, বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের নানাভাবে চেষ্টা করা হয়েছে সড়ক থেকে নেমে গিয়ে কারখানার সামনে অবস্থান করার। কিন্তু তারা পুলিশের কথা না শুনে উল্টো ইটপাটকেল ছুড়ে ১০ জন পুলিশ সদস্যকে আহত করেছে। এ সময় পুলিশ ৪৪ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
শিল্প পুলিশের পরিদর্শক মাসুদুর রহমান বলেন, শিল্প পুলিশ এক রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি ও পাঁচ রাউন্ডের মতো গ্যাসগানের গুলি ছুড়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। মালিকপক্ষ শ্রমিকদের ডেকে নিয়ে পুরো মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস দিয়ে দিয়েছে।
মো. শাহাদাত হোসেন/বিএ
Advertisement