জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ভিজিএফের চাল নিয়ে ফেরার পথে যমুনা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় বগুড়ার সারিয়াকান্দি থেকে শিশুকন্যা মমতা খাতুনকে (৬) উদ্ধার করা হয়েছে। সে সায়িয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।
Advertisement
মমতা খাতুন সারারাত নদীতে ভেসে ভেসে বগুড়ায় আসায় অনেকেই আশ্চর্য হয়েছেন। নৌকাডুবির পর কীভাবে সে এতদূর চলে এসেছে তা মমতা বলতে পারে না। সে শুধু থৈ থৈ পানি দেখেছে। এ নিয়ে এলাকাবাসী বলছে শিশুটি আসলে যমুনাকন্যা। মমতা খাতুনের বাড়ি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চর হলকা গ্রামে। তার বাবার নাম ময়েন উদ্দিন।
জানা যায়, বুধবার দেওয়ানগঞ্জের চুকাইবাড়ী ইউনিয়ন থেকে বেশ কয়েকজন ত্রাণের চাল নিয়ে হলকা হাওড়াবাড়ী এলাকায় যাচ্ছিলেন নৌকা নিয়ে। পথে রাত ৮টার দিকে নদীপথে টিনের চরের কাছে পৌঁছালে মাঝ নদীতে নৌকাটি ডুবে যায়। এরমধ্যে বেশ কয়েকজন নিখোঁজ হয়। ওই নৌকায় ছিল শিশু মমতা খাতুন।
মমতা উত্তাল যমুনা নদীর পানিতে ভাসতে ভাসতে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার ঘুঘুমারি চরে আটকে পড়ে থাকে। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে এলাকাবাসী তাকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পায়। পরে তাকে উদ্ধার করে সায়িয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেয়।
Advertisement
বগুড়ার সারিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ আল আমিন জানান, প্রায় ৫০ কিলোমিটার নদীপথে শিশুটি রাতের আঁধারে সারিয়াকান্দির ঘুঘুমারি চরে এসে পৌঁছায়। কীভাবে সে ভেসে ভেসে এতদূরে এলো সেটি জানা সম্ভব হয়নি।
তিনি জানান, মমতা খাতুনের বাবা-মাকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা এসে শিশুটিকে নিয়ে যাবেন।
সায়িয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. উত্তম কুমার রায় ও সিনিয়র স্টাফ নার্স উম্মে হানি জানান, নদীপথে ভেসে আসা শিশুটি আগের থেকে বেশ ভালো আছে। সে তার পরিবারের সদস্যদের চিনতে পারছে। তার এক চাচা এসেছেন। শিশুটি কথাও বলছে।
লিমন বাসার/বিএ
Advertisement