ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়িচালক মনির (৩৫) বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন এক প্রবাসীর স্ত্রী।
Advertisement
বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এ মামলাটি করা হয়। মামলায় ইউএনও অফিসের এমএলএসএস ছোটনের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে জুডিশিয়াল তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী জেলার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের বাধালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তার স্বামী প্রবাসে থাকার কারণে বর্তমানে তিনি আখাউড়া উপজেলার গাজীরবাজারে এলাকায় থাকেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, স্বামী প্রবাসে থাকার কারণে আখাউড়ার ইউএনওর গাড়িচালক মনির সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে ওই নারীর।
Advertisement
মনি বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের নোয়াগাও কেশবপুরের মৃত ধন মিয়ার ছেলে। এরপর মনি আখাউড়া পৌর এলাকার দেবগ্রামের সোহরাব মিয়ার ছেলে এমএলএসএস ছোটনের (৪০) সঙ্গে ওই নারীর পরিচয় করিয়ে দেন। এরই মধ্যে মনি প্রায়ই অশ্লীল ছবিসহ ওই নারীকে কুপ্রস্তাব দিতো। মনির প্রস্তাবে রাজি হওয়ার জন্য ওই নারীকে চাপ দিতো ছোটন।
এরই ধারাবাহিকতায় মনি গত ১০ জানুয়ারি ওই নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এরপর ১৫ জানুয়ারি বিয়ের আশ্বাসে উপজেলা পরিষদের ডাকবাংলোয় নিয়ে এমএলএসএস ছোটনের সহায়তায় তাকে ধর্ষণ করে।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, ওই নারী মনিকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে গোপন ভিডিওর কথা বলে তার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। ঘটনাটি কাউকে জানালে ওই নারীর সাত বছরের কন্যাসন্তানকে খুন করে মরদেহ গুম করে ফেলবে বলে হুমকি দেয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার রেইনা জাগো নিউজকে বলেন, মনি আমাদের রেগুলার স্টাফ না। তিনি মাস্টাররোলে কাজ করেন। তার বিরুদ্ধে দাফতরিক কোনো ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ নেই। তবে মামলার বিষয়টি জানার পর তাকে কাজে আসার জন্য নিষেধ করা হয়েছে। ছোটনের ব্যাপারে আদালত যে রায় দেবেন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Advertisement
আজিজুল সঞ্চয়/এএম/পিআর