খেলাধুলা

বিশ্বকে চমকে দিয়ে হঠাৎ অবসরের ঘোষণা আমলার

এমন কোনো কথা আগে থেকে শোনা যাচ্ছিল না। অবসরের পরিকল্পনার কথা হাশিম আমলা নিজেও বলেননি। সবাইকে চমকে দিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) হঠাৎই জানিয়ে দিলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর কোনো ফরমেটেই দেখা যাবে না তাকে। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটটা চালিয়ে যাবেন।

Advertisement

প্রায় ১৫ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটটা এভাবে হঠাৎ থমকে গেল আমলার। ২০০৪ সালের নভেম্বরে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে অভিষেক হয়েছিল ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের। এরপর ২০০৮ সালে হয় ওয়ানডে অভিষেক, পরের বছর টি-টোয়েন্টি।

এরপর দেশের হয়ে ১২৪টি টেস্ট, ১৮১ ওয়ানডে আর ৪৪টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন আমলা। সর্বশেষ বিশ্বকাপেও প্রোটিয়াদের সবুজ জার্সিতে দেখা গেছে তাকে। ৩৬ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান তখনও জানাননি অবসরে যাওয়ার পরিকল্পনার কথা।

ক্রিকেট মাঠের শান্ত এবং ভদ্র মানুষ হিসেবে দারুণ নাম আছে আমলার। তার লেগ সাইডের ফ্লিক আর কভার ড্রাইভগুলো এক একটি ছিল যেন বাঁধিয়ে রাখার মতো শিল্পকর্ম।

Advertisement

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে টেস্টে প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরির রেকর্ডটিও গড়েন এই আমলা। ওয়ানডে ক্রিকেটেও তার কীর্তি ছিল চোখে পড়ার মতো। ওয়ানডে ইতিহাসের দ্রুততম ২ হাজার (৪০ ইনিংসে), ৩ হাজার (৫৭ ইনিংস), ৪ হাজার (৮১ ইনিংস) এবং ৫ হাজার (১০১ ইনিংস) রানের রেকর্ডও ড্যাশিং এই ব্যাটসম্যানেরই দখলে।

বিদায়বেলায় এক বিবৃতিতে আমলা বলেছেন, ‘প্রথমত, সকল প্রশংসা এবং ধন্যবাদ সর্বশক্তিমানকে। যিনি প্রোটিয়াদের হয়ে আমাকে খেলার ভাগ্য করে দিয়েছেন। এটা আমার জন্য ছিল শুধু আনন্দ আর সম্মানের। অবিশ্বাস্য এই যাত্রায় আমি অনেক কিছু শিখেছি, অনেক বন্ধু পেয়েছি এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রোটিয়াফায়ারের (দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটের পরিচয় এবং সংস্কৃতি) মতো ভালোবাসার ভ্রাতৃত্ব পেয়েছি।’

ভালোবাসা ও সমর্থন দেয়ার জন্য আমলা ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাবা মা, পরিবার, বন্ধুবান্ধব, ক্রিকেট বোর্ড, সতীর্থসহ কোচ ও স্টাফদের। দলের সমর্থকরা তার ভালো করার শক্তি ছিল এমনটাই বলেছেন তিনি। আর শেষটা করেছেন সুন্দর দুটি শব্দ দিয়ে-‘ভালোবাসা এবং শান্তি।’

এমএমআর/এমকেএইচ

Advertisement