সারাদেশে ডেঙ্গু মহামারি আকার ধারণ করায় নিয়মিত চলছে মশা নিধনের নানা কর্মসূচি। সেই লক্ষ্যে ময়মনসিংহের নালা-নর্দমায় মশার প্রজননক্ষেত্র বিনষ্ট করতে পরিত্যক্ত জলাশয়ে মসকিউটো ফিশ (মশাভুক মাছ) ছাড়া হয়েছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার বিকেলে জৈবিক পদ্ধতিতে মশক নিধন কর্মসূচির আয়োজন করে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন। তবে মশা নিধন কর্মসূচিতে সেলফি ও ছবি তুলতে দেখে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, মশা নিধন নাকি ফটোসেশন চলছে?
সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হকের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ড্রেনে ‘মশাভুক মাছ’ অবমুক্ত করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান।
‘মশাভুক মাছ’ নিয়ে গবেষণা করেছেন বাকৃবির ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. হারুনুর রশীদ। তিনি ২০১৭ সালে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কয়েকটি ড্রেনে মশা নিয়ন্ত্রণে কয়েকটি মসকিউটো ফিশের দক্ষতা নিয়ে গবেষণা করেন।
Advertisement
তিনি বলেন, শুধু ডেঙ্গু নয়, মশাবাহিত ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া রোগে প্রতি বছর অনেক মানুষ আক্রান্ত হয়। মশার বংশ বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করা আবশ্যক। প্রায় ১০ বছর আগে আমেরিকা মসকিউটো ফিশ থেকে অ্যাকুরিয়াম ফিশ হিসেবে দেশে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে দেশের মুক্ত জলাশয় এবং ড্রেনে সেগুলো ছড়িয়ে পড়ে।
গবেষণায় দেখা গেছে, নর্দমার পানিতে মশার লার্ভা নিধনে মসকিউটো ফিশ বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে। যদি এ মাছ ঢাকাসহ দেশের প্রতিটি শহরের নর্দমা ও ড্রেনে ছড়িয়ে দেয়া যায় তবে এগুলো সারা বছর ধরে মশার জৈবিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে। বিষয়টি মাথায় রেখে নগরীর বেশ কয়েকটি নর্দমা, ড্রেনে এ মাছ ছাড়া হলো।
সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, পর্যায়ক্রমে ময়মনসিংহের সব ড্রেনে এসব মাছ ছাড়া হবে এবং সারা বছর এটি অব্যাহত থাকবে।
এএম/এমকেএইচ
Advertisement