আইন-আদালত

ইটিভির সাবেক চেয়ারম্যান সালামের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদের বিবরণী জমা না দেয়ার মামলায় বেসরকারি টিভি চ্যানেল একুশে টেলিভিশনের (ইটিভি) সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস সালামের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) কমিশনের বৈঠকে অনুমোদন হওয়া অভিযোগপত্রে তার বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী না দেওয়া এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

Advertisement

দুদকের উপপরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের উপপরিচালক সামছুল আলম শিগগিরই বিচারিক আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেবেন।

দুদক সাংবাদিকদের জানায়, নির্ধারিত সময়ে সম্পদ বিবরণী জমা না দেয়ায় ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল আবদুস সালামের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক সামছুল আলম। মামলার তদন্তও করেন তিনি। তদন্ত শেষে তার প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয় কমিশন।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে ২১ নভেম্বর কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপারের মাধ্যমে আবদুস সালামের কাছে সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারি করা হয়। আবদুস সালাম ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর তা গ্রহণ করেন। ২০১৭ সালের ১২ মার্চ জেল সুপার এক চিঠির মাধ্যমে দুদককে জানান, আবদুস সালাম এ সংক্রান্ত কোনো বিবরণী তাদের কাছে জমা দেননি। তাই তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

Advertisement

তদন্তে দেখা যায়, আবদুস সালামের নামে অর্জিত স্থাবর সম্পদের মূল্য ১৩ কোটি ৮৫ লাখ ৫ হাজার ৬৫৬ টাকা, অস্থাবর সম্পদের মূল্য ৬৪ কোটি ৯৯ লাখ ৮ হাজার ২৬১ টাকা। স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ মিলে তার মোট সম্পদ ৭৮ কোটি ৮৪ লাখ ১৩ হাজার ৯১৭ টাকা।

তদন্তের সময় আবদুস সালামের বক্তব্য নেয়া হয় এবং তাকে তার আয়ের উৎসের বিষয়ে রেকর্ডপত্র সরবরাহের অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তিনি তার আয়-ব্যয় সংক্রান্ত কোনো রেকর্ডপত্র উপস্থাপন করেননি। আয়কর বিভাগে তার জমা দেয়া আয়কর রিটার্ন সংশ্লিষ্ট নথি জব্দ করা হয়। সেগুলো বিশ্লেষণে দেখা গেছে, তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে ৩২ কোটি ২০ লাখ ৯৫ হাজার ৮৫৬ টাকার।

সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার মামলার তদন্তের ফল অনুসারে, তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের তথ্যও পাওয়া গেছে। ফলে তার বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী না দেয়া এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অভিযোগপত্র দেয়ার সুপারিশ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন তা অনুমোদন দিয়েছে।

এফএইচ/আরএস/এমকেএইচ

Advertisement