খেলাধুলা

স্থায়ীভাবেই বুটজোড়া তুলে রাখলেন ফোরলান

২০১০ বিশ্বকাপ মাতিয়েছিলেন তিনি। নিজের দেশ উরুগুয়েকে নিয়ে গিয়েছিলেন সেমিফাইনাল পর্যন্ত। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার মত দল যেখানে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল, সেখানে ফোরলানের কল্যাণে উরুগুয়ে খেললো বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল।

Advertisement

সেই দিয়েগো ফোরলান চার বছর আগেই দেশের হয়ে খেলবেন না বলে জানিয়েছিলেন। এবার ২১ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি টেনে দিলেন। নিজের বুটজোড়াকে স্থায়ীভাবেই তুলে রাখার ঘোষণা দিলেন ২০১০ বিশ্বকাপের সেরা ফুটবলার।

পেশাদার ক্যারিয়ারে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, ইন্টার মিলান, ভিয়ারিয়ালের হয়ে খেলেছেন ফোরলান। এমনকি ভারতের আইএসএলে মুম্বাই সিটির হয়েও খেলেছেন তিনি। বর্ণময় ফুটবল ক্যারিয়ারে বল পায়ে মাঠ মাতিয়েছেন অভিজাত একাধিক ক্লাবে। তবে ক্লাব ক্যারিয়ারে ফোরলান সবচেয়ে সফল স্প্যানিশ ক্লাব অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে।

২০১৮ হংকংয়ের কিটচি এফসি’র হয়ে ক্লাব ফুটবলে ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটি খেলেছিলেন ফোরলান। বুধবার পেশাদার ফুটবলার হিসেবে অবসরে যাওয়ার কথা ঘোষণা করলেন ফোরলান নিজে।

Advertisement

বিদায়বেলায় আবেগী ফোরলান টুইটারে তার অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে লিখলেন, ‘দীর্ঘ ২১ বছর পর পেশাদার ফুটবলার হিসেবে ক্যারিয়ারে ইতি টানার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলাম। অসাধারণ সব স্মৃতি ও আবেগে ভরপুর ছিল সুন্দর এই মঞ্চটা। তবে আগামীদিনে অপেক্ষা করছে নতুন চ্যালেঞ্জ। এই দীর্ঘ যাত্রাপথে যাদেরকে পাশে পেয়েছি, সকলকে ধন্যবাদ।’

দেশের জার্সি গায়ে ১১২ ম্যাচে ফোরলানের নামের পাশে রয়েছে ৩৬ গোল। যার মধ্যে ২০১১ কোপা আমেরিকা জয় নিঃসন্দেহে সেরা স্মৃতি উরুগুইয়ান এই স্ট্রাইকারের জন্য। যদিও ২০১০ ফুটবল বিশ্বকাপে তার ব্যক্তিগত সাফল্যের সাক্ষী ছিল ফুটবল দুনিয়া। বিশ্বকাপে সেবার ‘গোল্ডেন বল’ জিতে নিয়েছিলেন তিনি।

১৯৯৭ সালে আর্জেন্টিনার ইন্ডিপেন্ডিয়েন্তে ক্লাবের হয়ে সিনিয়র ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু এই উরুগুয়ের কিংবদন্তি ফুটবলারের। সেখান থেকে ২০০২ দলবদল করে ম্যানচেস্টার ইউনাটেডে আগমণ ঘটে এই ফরোয়ার্ডের। রেড ডেভিলসদের হয়ে প্রথম মৌসুমেই ফার্গুসনের অধীনে প্রিমিয়র লিগ জিতে বিশ্ব ফুটবলে পরিচিতি আদায় করে নেন সোনালি চুলের এই ফুটবলার।

এরপর ২০০৪ স্পেনের ক্লাব ভিয়ারিয়ালে নাম লেখান তিনি। ভিয়ারিয়ালের হয়ে ১০৬ ম্যাচে ৫৪ গোল করার পর স্পেনের আরেক ক্লাব অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে যোগ দেন ২০০৭ সালে। ২০০৭ থেকে ২০১১ পর্যন্ত খেলেন অ্যাটলেটিকোর হয়ে। ১৩৪ ম্যাচে করেন ৭৪ গোল। লা-লিগা জয়ের স্বাদ না পেলেও অ্যাটলেটিকোর হয়ে ২০০৯-১০ মৌসুমে ইউরোপা লিগ জিতেছিলেন তিনি।

Advertisement

লা-লিগার দু’টি ক্লাবের হয়ে ২৪০ ম্যাচে ফোরলানের নামের পাশে লেখা হয়েছে ১২৮ গোল। ফোরলানের জাতীয় দলের সতীর্থ, বার্সা তারকা লুইস সুয়ারেজ বিদায়বেলায় কিংবদন্তির উদ্দেশ্যে টুইটারে লেখেন, ‘জাতীয় দল ও ক্লাবের হয়ে একাধিক অবিস্মরণীয় মুহূর্ত উপহার দেওয়ার জন্য উরুগুয়ের মানুষ তোমার কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবে।’

আইএইচএস/পিআর