দেশজুড়ে

আমি একা নয় রাব্বিও একাধিকবার বলাৎকার করেছে

পাবনা সদর উপজেলার আতাইকুলা থানার শ্রীকোল গ্রামে এক শিশুকে (৬) বলাৎকারের ঘটনায় দুই কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

গ্রেফতাররা হলো শ্রীকোল গ্রামের মো. ইন্তাজ আলীর ছেলে ইরফান আলী (২০) এবং একই গ্রামের আব্দুল মালেক প্রামাণিকের ছেলে রাব্বি (১৪)।

গ্রেফতার ইরফান বখাটে এবং রাব্বি স্থানীয় শ্রীকোল আজিজা খাতুন উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। বুধবার মধ্যরাতে আতাইকুলা থানা পুলিশের ওসি মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিশুকে বলাৎকারের কথা স্বীকার করেছে গ্রেফতাররা। বলাৎকারের শিকার শিশুটি একই গ্রামের দরিদ্র পরিবারের ছেলে এবং স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র। শিশুটিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Advertisement

বলাৎকারের শিকার শিশুর বরাত দিয়ে পাবনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আসাদুজ্জামান বলেন, প্রতিবেশী দূর-সম্পর্কের চাচা ইরফান আলী অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মাসখানেক আগে একাধিকবার শিশুটিকে বলাৎকার করে। ঘটনাটি কাউকে বললে শিশু ও তার বাবা-মাকে হত্যার ভয় দেখায় ইরফান। তখন শিশুটি ভয় পেয়ে ঘটনাটি কাউকে বলেনি। সর্বশেষ ২৩ জুলাই শিশুটিকে আবারও ইরফান বলাৎকার করলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। ওই দিনই শিশুর অভিভাবকরা তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এখনো শিশুটি পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় একজন চিকিৎসক শিশুটির অভিভাবকদের জানান, শিশুটিকে বলাৎকার করা হয়েছে এবং ভয়ে বিষয়টি কাউকে বলেনি। এরপর শিশুটি ঘটনা খুলে বললে বিষয়টি পুলিশকে জানায় পরিবার।

শিশুটির বাবা বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ। ছেলের চিকিৎসা করাতে অনেক টাকা ব্যয় হয়েছে। তার শরীরে কয়েক ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়েছে। মামলা করতে গেলে আমাদের হুমকি দেয়া হয়।’

আতাইকুলা থানা পুলিশের ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, পাবনা থানার মাধ্যমে বিষয়টি জানার পর বুধবার রাতেই শ্রীকোল গ্রামে অভিযান চালিয়ে ইরফানকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর ইরফান জানায়, রাব্বিও ওই শিশুটিকে একাধিকবার বলাৎকার করেছে। এরপর রাব্বিকেও গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement

ওসি আরও বলেন, দুজনই পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বলাৎকারের কথা স্বীকার করেছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনে আদালতে ১৬৪ ধারায় তাদের জবানবন্দি নেয়া হবে।

একে জামান/এএম/পিআর