কোরবানির সময় সঠিকভাবে ছুরি ব্যবহার না করার কারণে প্রায় ৩৩০ কোটি টাকার চামড়া নষ্ট হয়। এই ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে চামড়া ছাড়াতে কী ধরনের ছুরি ব্যবহার করতে হবে তা জানিয়ে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে সরকারিভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মোবাইলে খুদেবার্তাও (এসএমএস) পাঠানো হয়েছে।
Advertisement
কোরবানির সময় সঠিকভাবে ছুরি ব্যবহার না করার কারণে ৩৩০ কোটি টাকার চামড়া নষ্ট হয় জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কোরবানির পশুর চামড়া ছাড়াতে বাঁকানো মাথার ছুরি ব্যবহার করতে হবে। চোখা ছুরি পরিহার করতে হবে।
ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে বছরে মোটামুটি ২২ কোটি বর্গফুট চামড়া পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৬৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ গরুর, ৩১ দশমিক ৮২ শতাংশ ছাগলের, ২ দশমিক ২৫ শতাংশ মহিষের এবং ১ দশমিক ২ শতাংশ ভেড়ার চামড়া। মোট চামড়ার অর্ধেকের বেশি আসে কোরবানির ঈদের সময়।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, এবার কোরবানিযোগ্য প্রাণির সংখ্যা (গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া) ১ কোটি ১৭ লাখ ৮৮ হাজার ৫৬৩টি। এর মধ্যে গরু-মহিষের সংখ্যা ৪৫ লাখ ৮৮ হাজার। ছাগল, ভেড়া ৭২ লাখ এবং অন্যান্য প্রাণি উট, দুম্বা ৬ হাজার ৫৬৩।
Advertisement
গতবার কোরবানি দেয়া গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া ছিল ১ কোটি ১৫ লাখ ৫৭ হাজার। তার মধ্যে ৪৪ লাখ ৫৭ হাজার গরু, ৭১ লাখ ছাগল ও ভেড়া কোরবানি দেয়া হয়েছে।
বরাবরের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকার ও ব্যবসায়ীরা মিলে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করেন। এবার ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ৪৫-৫০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৩৫-৪০ টাকা। গত বছর প্রতি বর্গফুটের দাম একই ছিল। ২০১৭ সালে প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ছিল ঢাকায় ৪৫-৫৫ এবং ঢাকার বাইরে ৪০-৪৫ টাকা।
এবার সারা দেশে খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৮-২০ এবং বকরির চামড়া ১৩-১৫ টাকায় সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে ব্যবসায়ীদের। গতবার খাসির চামড়ার দামও ছিল একই। তবে ২০১৭ সালে খাসির চামড়ার দাম ছিল প্রতি বর্গফুট ২০-২২ এবং বকরির চামড়া ১৫-১৭ টাকা।
এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংক সোনালী, জনতা, রূপালী ও অগ্রণী এবার কোরবানির পশুর চামড়া কিনতে ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে জনতা ব্যাংক ২০০ কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংক ২০০ কোটি, সোনালী ব্যাংক ৭০ কোটি এবং অগ্রণী ব্যাংক ১৩৫ কোটি টাকা ঋণ দেবে।
Advertisement
এমএএস/এসআর/পিআর