হৃদয়েশ্বরী
Advertisement
কখনো সজনী কখনো নীলাকখনো মৌ কখনোবা হিয়া।কখনো উর্বশী কখনো শিলা,কখনো মানসী কখনোবা প্রিয়া।
যে নামেই ডাকাডাকিআসলে সে কে?ঘুরে ফিরে আসে বারে বারে,জীবন নদীর প্রতি বাঁকে বাঁকে!
সে কি রক্ত-মাংসের মানবী!নাকি কল্পিত অশরীরী।কিম্ভুতকিমাকার,নাকি ডানাকাটা পরী!
Advertisement
আমিই কি জানি!কে সেই হৃদয়েশ্বরী?মন ছুঁয়ে যাওয়া,মনরাজ্যের সেই অপ্সরী!
কেউ বলে আবাস তারচূড়ামনকাঠি অথবা চান্দা।কেউ করে অনুমানহিলি বা হাতিবান্দা।
পতেঙ্গাতে বলে কেউ কেউঅন্যরা বলে নাটোরে।কেউ কেউ বলে চকোরীতেকিংবা চিরির বন্দরে।
সে আছে স্বস্থানেতার প্রিয় প্রান্তরে,আমি বলি তনু-মনেমিশে আছে এই অন্তরে!
Advertisement
কথা-কাব্য
কোথায় পালাবে? কোথায় লুকাবে?যাবে কোথায়? কতদূর?আমার স্মৃতিকণার মিছিল রবেযাবে তুমি যতদূর!
যতদূর চোখ যায় দিগন্তরেখায়, প্রকৃতির প্রতিটি সুরের ছোঁয়ায়;আমার মনের কথা-কাব্য-গাথালেখা আছে সব নীল বেদনায়।
সব কবির কথা-কাব্যেসব কবিতা গানে ও সুরেআমিই থাকবো নীরবে-সরবে;থাকবো তোমার ভুবন জুড়ে।
আমার মনের কথা-কাব্যরইবে ভুবনজুড়ে, ক্ষণে ক্ষণে পড়বে তুমিভাসবে নয়ন নীরে।
আকাশের বুকে নীলা হারায়সাগরের বুকে ঢেউ।তোমার হৃদয়কুঞ্জে আমার নিবাসজানলো না তো কেউ।
রূপালি সৈকতে
মিষ্টি মুখে দুষ্টু কথাশুনতে ভারি লাগেবাঁকা হাসির চাঁদমুখখানাস্বপ্নের মাঝেও জাগে!
সোহাগ আদুরে শাসনেযখন আমায় পাগল বলো,আমি বলি শতবার বলোকর্ণে স্বর্গ-সুধা ঢালো!
পাশাপাশি যখন থাকিঅনাবিল সুখ আসে,সেই সুখ স্মৃতিমালামনের মাঝে ভাসে।
এমন আবেগঘন মধুক্ষণযদি আর না ফিরে আসে।অবশেষে যদি যাও হারিয়েভাগ্যের নির্মম পরিহাসে।তুমি কি তখনো বাইবে তরীভালোবাসার রূপালি সৈকতে!
এসইউ/পিআর