কুষ্টিয়ার গরুর ব্যাপারী হাবিবুর রহমান। পুরান ঢাকার রহমতগঞ্জ কোরবানির হাটে ছয়টি পোষা গরু নিয়ে গতকাল (বুধবার) হাটে এসেছেন। গতবার ১০টি গরু নিয়ে এসে কম দামে লোকসানে বিক্রি করতে বাধ্য হন। এবার মাত্র ছয়টি গরু নিয়ে এসেছেন। এবার হাটে বেশ ভালো মুনাফায় গরুগুলো বিক্রি করতে পারবেন বলে স্বপ্ন দেখছেন।
Advertisement
বেশি মুনাফায় পশু বিক্রির স্বপ্ন দেখার কারণ জানতে চাইলে হাবিবুর রহমান বলেন, এ বছর পশু আমদানি কম। তাছাড়া ভারত থেকে এ বছর গরু কম আসছে। কোরবানির হাটে এবার দেশীয় খামারের গরুই ভরসা।
তিনি বলেন, গত বছর মানুষ কোরবানিই কম দিয়েছিল। এবার মানুষ ঠিকমতো কোরবানি দিলে হাটে গরু খুঁজে পাওয়া যাবে না।
শুধু হাবিবুর রহমান নন, তার মতো অনেক ব্যাপারী এবার ভালো মুনাফায় কোরবানির পশু বিক্রির স্বপ্ন দেখছেন। আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে হাটগুলো জমে উঠবে।
Advertisement
আজ সকালে সরেজমিনে পরিদর্শনকালে হাটে ক্রেতার দেখা পাওয়া যায়নি। তবে ক্রেতা না পাওয়ায় হতাশ নন ব্যাপারীরা। তারা বলছেন, আজ বিকেল থেকেই হাট জমে উঠবে।
নাটোর থেকে ২২টি গরু নিয়ে এসেছেন সেন্টু নামে একজন ব্যাপারী। তার গরুগুলো দেখতে বেঁটে। তিনি বলেন, দেখতে ছোট হলেও এগুলো দেশি গাই গরু। হাটে বড় বড় যত গরু দেখা যায় সেগুলো দেখতে সুন্দর হলেও মাংস খেতে মজা নেই। নানা ধরনের ওষুধ খাইয়ে মোটাতাজা করা হয়।
তিনি জানান, দেশি এই গাইগুলো ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে- মাত্র ২৫ থেকে ৬০ হাজার টাকার মধ্যে। গতকাল ট্রাক থেকে নামানোর সাথে সাথে সাড়ে ২৭ হাজার টাকায় একটি গরু বিক্রি করেছেন বলে জানান তিনি। এবার গরুর আমদানি কম হওয়ায় বিক্রিতে বেশ মুনাফা হবে বলে মনে করেন তিনি।
এনএফ/পিআর
Advertisement