এখনও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে কাশ্মীরে। বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এদিকে, সেখানকার সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ থাকায় গত কয়েকদিন ধরেই কাশ্মীরের বাইরে থাকা লোকজন তাদের পরিবারের সঙ্গে কোনভাবেই যোগাযোগ করতে পারছে না।
Advertisement
এক কাশ্মীরি জানিয়েছেন, তিনি বর্তমানে দিল্লিতে আছেন। মা-বাবাকে একা রেখেই দিল্লি গেছেন তিনি। তার বাড়ি শ্রীনগরে। কাজের সূত্রে তাকে দিল্লি থাকতে হচ্ছে। গত ২ আগস্ট শেষবারের মতো বাড়ি গিয়েছিলেন। সে সময়ই পরিস্থিতি অন্য রকম লাগছিল।
অমরনাথে নাশকতার আশঙ্কার কথা জানিয়ে বারামুলায় জাতীয় সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার? অথচ দুই এলাকা দু’দিকে অবস্থিত। এমন পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ায় এটিএম থেকে টাকা তুলেছিলেন ৪ আগস্ট সকালে। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে দোকান-বাজার, এটিএম বুথ সব কিছুই বন্ধ আছে। শহরজুড়ে চলছে কারফিউ। তবে কাশ্মীরে প্রত্যেকের বাড়িতেই থাকে শাক-সবজির বাগান। তা দিয়েই তাদের প্রতিদিনের খাবার-দাবার চলে যায়। কিন্তু এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে পরবর্তীতে কী হবে সেটা কেউই জানে না।
কেউ দিনের বেলা গাড়ি নিয়ে বের হলে সেনারা আটকাচ্ছে। রাতের দিকে পাহারা কম থাকে। সে কারণে লোকজন রাত ১০টার পর বাইরে যাচ্ছেন। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের প্রতিবাদ হচ্ছে, লোকজন বিক্ষোভ করছে। সেনারাও পাল্টা কাঁদানে গ্যাস ছুড়ছে।
Advertisement
তবে শহরের হাসপাতাল সংলগ্ন ওষুধের দোকানগুলো খোলা আছে। নার্সিংহোম, হাসপাতালে গেলে চিকিৎসা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু সেখানে যাওয়ার কোন উপায় নেই। যাদের গাড়ি নেই, তাদের কেউ অসুস্থ হলে কিভাবে হাসপাতালে নেবে? কারণ অ্যাম্বুল্যান্স ডাকাতো সম্ভব হচ্ছে না কারণ সব ফোনের সংযোগই তো বন্ধ। কোথাও আগুন লাগলেও একই অবস্থা হবে। তিনদিন পর সেখানে টিভির সম্প্রচার চালু হয়েছে।
টিটিএন/এমআরএম