অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ভারত বাতিল করার পর উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বুধবার সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস অ্যাজেন্সি (এসপিএ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
Advertisement
এতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার যুবরাজ বিন সালমানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এ সময় হিমালয় অঞ্চলের এই সঙ্কট ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
এসপিএ বলছে, কাশ্মীরের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে অবগত করেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে সোমবার (৫ আগস্ট ২০১৯) অধিকৃত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিল করে ভারত। নয়াদিল্লির এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক স্তরে সমর্থন পেতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছেন।
Advertisement
ইমরান খান ছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি-সহ শীর্ষ স্থানীয় রাজনীতিক ও কূটনীতিকরাও তৎপর হয়ে উঠেছেন। কাশ্মীর ইস্যুতে তারা বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত প্রস্তাব পাস হওয়ার পরপরই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদকে টেলিফোন করেন ইমরান খান। এ সময় কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন পাকিস্তানের এই প্রধানমন্ত্রী।
ভারত সংবিধানের অনুচ্ছেদ বাতিল করলেও কাশ্মীরিদের লড়াইয়ে অব্যাহত কূটনৈতিক, নীতিগত ও রাজনৈতিক সমর্থন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন ইমরান খান। মাহাথির মোহাম্মদ ও এরদোয়ানের কাছেও কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান তিনি।
ভারত কাশ্মীরের মর্যাদা বাতিলের মাধ্যমে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের শর্ত লঙ্ঘন করেছে বলেও অভিযোগ করেন ইমরান খান। তুরস্ক ও মালয়েশিয়ার এ দুই রাষ্ট্রপ্রধান কাশ্মীরিদের প্রতি তাদের সমর্থন আছে বলে জানান।
Advertisement
ইমরান খান বলেন, ‘ভারত সরকারের একতরফা কোনো পদক্ষেপই বিতর্কিত অঞ্চলের স্ট্যাটাসকে পরিবর্তন করতে পারে না। কারণ এটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনার অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ভারত অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের জনগণ মেনে নেবে না।’
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক এই বিবাদের একটি পক্ষ হিসেবে ভারতের নেয়া অবৈধ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পাকিস্তান।’
সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন, জিও টিভি।
এসআইএস/এমকেএইচ