আইন-আদালত

বড়পুকুরিয়া মামলার বৈধতা নিয়ে রায় ১৭ সেপ্টেম্বর

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা হাইকোর্টের জারি করা রুলের উপর আদেশ বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টম্বর)।তার আগে গত ৩০ আগস্ট মামলার শুনানি শেষে যে কোন দিন রায়ের জন্য (সিএভি) রেখেছিল সংশ্লিষ্ট আদালত। হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ও বিচারপতি আব্দুর রবের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ  এই মামলাটির রায়ের জন্য ১৭ তারিখের কার্যতালিকায় রয়েছে। সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।তিনি বলেন, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার বিষয়ে বেগম খালেদা জিয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে জারি করা রুলের উপর  উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিষয়টি সিএভি ছিল। এই আবেদনের ওপর রায়ের জন্য ১৭ সেপ্টেম্বরের তালিকায় রয়েছে।গত ৩০ আগস্ট আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী ও এহসানুর রগহমান প্রমুখ। অপরদিকে ছিলেন দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।তার আগে খালেদা জিয়া মামলাটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন ২০০৮ সালে।  দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি ও আত্মসাৎ করার অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।ওই বছর ৫ অক্টোবর ১৬ জনের বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। এক আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্ট। মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুলও জারি করা হয়।বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় চারদলীয় জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ওই সরকারের ১০ মন্ত্রীসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়।মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়া অপর আসামিরা হলেন- সাবেক অর্থ মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান (মৃত), সবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মৃত), সাবেক শিল্প মন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী, সবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম কে আনোয়ার, এম শামসুল ইসলাম (মৃত), আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, একেএম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এস আর ওসমানী, সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।এফএইচ/এআরএস/এমএস

Advertisement