ঝিনাইদহের দক্ষিণ কালিকাপুর পাড়ায় নিজ বাসায় পুলিশ সদস্য ওবায়দুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া পুলিশ সদস্যের স্ত্রী শিখা খাতুন পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, তার দেয়া বিষ মাখা ওষুধ খেয়েই তার স্বামীর মৃত্যু হয়েছিল।উল্লেখ্য, পুলিশ সদস্য ওবায়দুল ইসলাম র্দীঘ দিন ধরে চুয়াডাঙায় পুলিশের দায়িত্ব পালন করেন। গত ১ আগস্ট তিনি চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেন। অবসরের পর থেকে ওবায়দুল ঝিনাইদহ শহরের দক্ষিণ কালিকাপুর পাড়ায় নিজ বাসায় বসবাস করছিলেন। এদিকে, গত রোববার সকালে তার বাসার প্রাচীরের পাশে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে এবং সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ সদস্যের স্ত্রী ও ছেলে খালিদ মাহমুদ লিংকনকে গ্রেফতার করে।ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত র্কমকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, পুলিশ সদস্য ওবায়দুল ইসলামের স্ত্রী শিখা খাতুনের পরকীয়া প্রেম ছিল। এ কারণেই শিখা খাতুন ওবায়দুল ইসলামকে ওষুধের সঙ্গে বিষ খাইয়ে হত্যা করেছে বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। স্বীকারোক্তিতে শিখা খাতুন জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতো হত্যাকাণ্ডের রাতেও খাবার শেষে শিখা খাতুন ওষুধের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে ওবায়দুলকে খাইয়ে দেন। বিষক্রিয়ায় রাতেই মারা যান সদ্য অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ওবায়দুল ইসলাম। রাতেই তার মরদেহ বাড়ির প্রাচীরের পাশে ফেলে রাখা হয়। এসএস/এমএস
Advertisement