শারীরিক সমস্যার কারণে ৩৩ বছর বয়সী কেলি বুলক একটা সময় বুঝতে পারেন, তার পক্ষে আর দ্বিতীয় সন্তান জন্ম দেয়া সম্ভব নয়। এ নিয়ে ভীষণ মন খারাপ কেলি ও তার স্বামী পলের। কিন্তু একটা উপায় তো বের করতেই হবে। সেই উপায় খুঁজতে গিয়ে অদ্ভুত এক চিন্তা মাথায় আসে তাদের।
Advertisement
চেশায়ারের ওয়ারিংটন শহরের বাসিন্দা মার্ক বট। পাশেই এক সন্তান ও স্ত্রী কেলিকে নিয়ে থাকেন তিনি। পল ও মার্ক খুবই ভালো বন্ধু। একদিন মদ্যপ অবস্থায় মার্ককে নিজের দুঃখের কথা জানান পল। একটা সময় পল প্রস্তাব দেন, মার্ক যেন তার স্ত্রী কিমকে (৩৫) বুঝিয়ে তাদের দ্বিতীয় সন্তান জন্ম দেয়। প্রিয় বন্ধু বলে কথা। পলের প্রস্তাব ফেলতে পারলেন না মার্ক। দুই সন্তানের জননী তার স্ত্রী কিমও এতে সাড়া দিলেন।
কিম বলেন, আমার স্বামী তার বন্ধুর সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করেছিলেন। পরে বাড়িতে এসে আমাকে গর্ভ ভাড়া দেয়ার কথা বলেন। আমি এতে রাজি হয়। এবং তাদের দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিই।
কেলি ও পলের ১৫ বছরের সংসার। বিয়ের ৭ বছর পর তারা প্রথম সন্তান ব্রুডির জন্ম দেয়। গর্ভাবস্থায় সিমফিসিস পিউবিস ডিসফাংশন নামের একটি অসুখে আক্রান্তের পর অন্তর্বেদনায় ভুগতে থাকেন কেলি। এ অসুখের পর তিনি ২২ সপ্তাহ হুইলচেয়ারে কাটান। প্রথম সন্তান জন্ম দেয়ার পর এই অবস্থার সমাধান করা উচিত ছিল কেলির। কিন্তু তিনি তা করেননি। যে কারণে এখন প্রতিনিয়ত ব্যথায় ভোগেন।
Advertisement
কেলি ও পল দম্পতি বুঝতে পেরেছিলেন, এ অবস্থায় দ্বিতীয় সন্তান নেয়ার প্রশ্নই আসে না। আর কেলির শরীরের এই অবস্থায় দ্বিতীয় সন্তান নেয়ার মানে, স্থায়ীভাবে হুইলচেয়ারে আবদ্ধ হয়ে যাওয়া। তাই তারা আশায় ছিলেন, কেউ যদি তাদের দ্বিতীয় সন্তানটা তার গর্ভে ধরে জন্ম দেয়। অবশেষে তাদের সে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। দ্বিতীয় সন্তান জন্ম দেয়ার জন্য কিমের প্রতি খুবই কৃতজ্ঞ কেলি ও পল।
চারজনের চমৎকার বন্ধুত্বের ফল টডলার রিলি, যার বয়স এখন ১৫ মাস। সে এখন বুঝে ফেলেছে যে, পৃথিবীতে তার মা একটা নয়, দুটা।
সূত্র : ডেইলি মেইল
এমএসএইচ/জেআইএম
Advertisement