ইন্দিরা গান্ধীর পর সুষমা স্বরাজই ছিলেন ভারতের দ্বিতীয় নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে সাতবার এবং আইন পরিষদের সদস্য হিসেবে তিনবার নির্বাচিত হন। ১৯৭৭ সালে মাত্র ২৫ বছর বয়সে উত্তর ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের মন্ত্রীসভার সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী হয়েছিলেন সুষমা। ১৯৯৮ সালের ১৩ অক্টোবর থেকে ১৯৯৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি দিল্লীর ৫ম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
Advertisement
২০১৪ সালে ভারতের সাধারণ নির্বাচনে তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে মধ্যপ্রদেশে বিদিশা লোকসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন। তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে প্রায় চার লাখ ভোট বেশি পেয়েছিলেন। এরপর থেকেই নিজের অবস্থান ধরে রেখেছিলেন সুষমা। ২০১৪ সালের ২৬ মে তিনি নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে সুষমা স্বরাজকে ভারতের ‘সবচেয়ে প্রিয় রাজনীতিবিদ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে রাজধানী নয়াদিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্স হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন ৬৭ বছর বয়সী এই প্রবীণ রাজনীতিক।
১৯৫২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি হরিয়ানার আম্বালা ক্যান্টনমেন্টে হারেদে শর্মা ও লক্ষ্মী দেবীর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন সুষমা স্বরাজ। তার বাবা ছিলেন একজন বিশিষ্ট রাষ্ট্রীয় স্বায়ত্ত্বক সংঘের সদস্য। তার বাবা-মা পাকিস্তানের লাহোর শহরের ধরামপুরা এলাকা থেকে এসেছিলেন।
Advertisement
১৯৭৩ সালে সুষমা স্বরাজ ভারতের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে অনুশীলন শুরু করেন। তবে সত্তরের দশক থেকেই তিনি ছিলেন এবিভিপি সদস্য। তিনি এবং তার স্বামী স্বরাজ কৌশল সমাজতান্ত্রিক নেতা জর্জ ফার্নান্দেজের বেশ ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সেই সময়ই তার সঙ্গে স্বরাজ কৌশলের আলাপ, পরিচয় এবং পরিণয়ভ। সাতের দশকে দেশের জরুরি অবস্থার সময় জয় প্রকাশ নারায়ণের নেতৃত্বে আন্দোলনে সামিল হন তিনি।
১৯৭৭ সালে মাত্র ২৫ বছর বয়েসে তিনি হরিয়াণা থেকে বিধায়ক হয়ে মুখ্যমন্ত্রী দেবীলালে মন্ত্রিসভার পূর্ণ মন্ত্রী হয়েছিলেন। তিনি ২০০৩ থেকে ২০০৪ এর সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত সময়ে অটল বিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বের সরকারে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন।
টিটিএন/জেআইএম
Advertisement