দেশজুড়ে

৩৬ লাখ টাকার পশুর হাট ১ কোটি ১৫ লাখে ইজারা নিলেন তিনি

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় ১৭টি পশুর হাটের মধ্যে আলীগঞ্জের গণপূর্ত অধিদপ্তরের (পিডব্লিউডি) খালি জায়গায় নির্ধারণ করা অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

Advertisement

সরকারের আহ্বানকৃত দরপত্র মূল্য ৩৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা হলেও দুই গ্রুপের রেষারেষিতে এক কোটি ১৫ লাখ ৫০০ টাকায় অস্থায়ী এ কোরবানির পশুর হাট ইজারা নিয়েছেন সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির।

এক কোটি ১৫ লাখ ৫০০ টাকায় অস্থায়ী এ কোরবানির পশুর হাট ফাতেমা মনির ইজারা নেয়ায় হতাশ প্রতিপক্ষ গ্রুপ। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করেছেন অনেকেই।

সোমবার আলীগঞ্জের পিডব্লিউডির খালি জায়গার অস্থায়ী কোরবানির হাটের জন্য পাঁচটি দরপত্র জমা পড়ে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনিরকে বৈধ ইজারাদার হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ফাতেমা মনিরের নাম ঘোষণা করেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক। হাটের কমিটির সব সদস্যের উপস্থিতিতে টেন্ডারের বাক্স খুলে সর্বোচ্চ দরদাতার নাম ঘোষণা করা হয়।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এবার ১৭টি অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাটের জন্য একটি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এই ১৭টি হাটের বিপরীতে ১৪১টি শিডিউল বিক্রি হয়। যার মধ্যে সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জমা পড়ে ৪৭টি। জমাকৃত দরপত্র থেকে সর্বোচ্চ দরদাতা ১৬ জনকে ১৬টি হাটের জন্য বৈধ ইজারাদার হিসেবে ঘোষণা দেন ইউএনও নাহিদা বারিক। এছাড়া একটি হাটের জন্য তিনটি দরপত্র জমা পড়লেও সেটি সরকারি নির্ধারিত দরের থেকেও কম মূল্য আসায় স্থগিত রাখা হয়।

এদিকে এ পশুর হাট নিয়ে সরকারি দলের একাধিক গ্রুপ সক্রিয় ছিল। বিশেষ করে এ হাট নিয়ে শ্রমিক নেতা কাউছার আহম্মেদ পলাশ গ্রুপ ও সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির গ্রুপ দৌড়ঝাঁপ করেছে।

উভয় গ্রুপ চেয়েছে অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে হলেও হাটের ইজারা নেবে। তাই সরকারিভাবে আহ্বানকৃত দরপত্র মূল্য ৩৬ লাখ ৮০ হাজার টাকার বিপরীতে এক কোটি ১৫ লাখ ৫০০ টাকায় হাটের ইজারা নেয়া হয়।

সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির জাগো নিউজকে বলেন, আলীগঞ্জের পিডব্লিউডির খালি জায়গায় পশুর হাটে সরকারিভাবে দরপত্র আহ্বান করা হয়। আমি শিডিউল কিনে হিসাব-নিকেশ করে এক কোটি ১৫ লাখ টাকার টেন্ডার ড্রপ করি। ফলে বৈধ ইজারাদার হিসেবে আমার নাম ঘোষণা করা হয়।

Advertisement

মো. শাহাদাত হোসেন/এএম/এমএস