পটুয়াখালীতে অপহরণের পর সাতদিন আটকে রেখে মাদরাসাছাত্রীকে (১৫) ধর্ষণ করা হয়েছে। সাতদিন পর সোমবার সন্ধ্যায় দুমকি উপজেলার কার্তিকপাশা এলাকা থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
Advertisement
একই সঙ্গে এ ঘটনায় আনোয়ার (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন ধর্ষণের শিকার মাদরাসাছাত্রীর ভাই। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, পটুয়াখালী সদর উপজেলার ধরান্দি এলাকার বাড়ি থেকে প্রতিদিনের মতো ২৯ জুলাই সকাল ৬টায় প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে মাদরাসায় যায় ওই ছাত্রী। কিন্তু প্রাইভেট শেষে বাড়ি ফিরে না আসায় তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে স্বজনরা। কোথাও তার সন্ধান না পেয়ে ২ আগস্ট পটুয়াখালী সদর থানায় জিডি করা হয়।
সোমবার (৫ আগস্ট) ওই ছাত্রীর অবস্থান জানতে পারে পুলিশ। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দুমকি উপজেলার কার্তিকপাশা এলাকার আনোয়ার মোল্লার বাসা থেকে অসুস্থ অবস্থায় ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
Advertisement
মাদরাসাছাত্রীর ভাই বলেন, প্রতিদিনের মতো ২৯ জুলাই সকাল ৬টায় মাদরাসায় প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয় আমার বোন। ওই দিন ৬টা ১০ মিনিটে মাদরাসার সামনের সড়কে পৌঁছালে আমার বোনকে তুলে নিয়ে যায় মো. ফজলু সিকদারসহ (৩২) কয়েকজন। পরে দুমকি উপজেলার আনোয়ারের বাড়িতে নিয়ে আমার বোনকে সাতদিন আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে ফজলু। আমরা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দীন বলেন, এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার ২নং আসামি মো. আনোয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি মামলার প্রধান আসামিসহ অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মহিব্বুল্লাহ চৌধুরী/এএম/এমকেএইচ
Advertisement