জাতীয় দলের পাইপ লাইন শক্ত থাকা জরুরি। জাতীয় দলের কোনো ক্রিকেটার ইনজুরির শিকার হলে তার জায়গা নিতে পারেন এমন অন্তত ৫-৭ জন ক্রিকেটারকে তৈরি রাখা সব সময় খুব দরকার। দুঃখজনক হলেও সত্য, সেই পাইপ লাইন সমৃদ্ধ ও শক্ত রাখার কাজটি মাঝের সময়টাতে খুব ভাল মত চলেনি।
Advertisement
চলেনি বলেই টিম ম্যানেজমেন্ট আর নির্বাচকরা কোন ব্যাটসম্যান পেসার কিংবা স্পিনার ইনজুরির শিকার হয়ে বাইরে ছিটকে পড়লে বিপাকে পড়ে যান। ঘুরে ফিরে সেই কতগুলো চেনা মুখকেই দেখা যায় বারবার। যেটা মোটেই সুখকর নয়। এতে করে, গত দুই তিন বছরে সে অর্থে তেমন কোন প্রতিভার উন্মেষ ঘটেনি। নতুন ব্যাটসম্যান, পেসার এবং স্পিনারেরও দেখা মেলেনি।
তবে খানিক দেরিতে হলেও এবার বিশ্বকাপের পর জাতীয় দলের পাইপ লাইন সমৃদ্ধ করার জোর তৎপরতা হাতে নেয়া হয়েছে। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু আজ দুপুরে জাগো নিউজের সাথে আলাপে জানিয়েছেন, ‘হাই পারফরমেন্স ইউনিট আর ‘এ’ দলকে অনুশীলনে রাখার পাশাপাশি দেশে ও বিদেশে খেলার মধ্যে রাখার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়া সামনেও অব্যাহত থাকবে।
তারই অংশ হিসেবে ভারতে একটি দীর্ঘ পরিসরের টুর্নামেন্ট খেলে এসেছে এইচপি দল। আর ঘরের মাঠে আফগান ‘এ’ দলের সাথে খেলেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। আগামীতেও হাই পারফরমেন্স (এইচপি) দলের সামনে রয়েছে প্রচুর খেলা।
Advertisement
ঈদের ছুটি শেষ হতেই সাইফ, নাজমুল হোসেন শান্ত, নাঈম শেখ, আফিফ হোসেন ধ্রুব, ইয়াসির রাব্বি, ইয়াসিন মিশু, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব আর শফিকুল ইসলামরা ব্যস্ত হয়ে পড়বেন শ্রীলঙ্কার ইমার্জিং টিমের বিপক্ষে খেলায়।
আগস্টের প্রায় পুরো সময় ধরে দেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কান ইমার্জিং একাদশের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশের এইচপির ক্রিকেটাররা। আগামী ১৬ আগস্ট রাজধানী ঢাকায় পৌঁছাবে শ্রীলঙ্কার ইমার্জিং দল। ওই দলের বিপক্ষে তিনটি একদিনের ম্যাচ আর দুটি চার দিনের ম্যাচে অংশ নেবে বাংলাদেশ হাই পারফরমেন্স (এইচপি) ইউনিট।
খেলা হবে সাভারের বিকেএসপি, খুলনা শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম ও কক্সবাজার শেখ কামাল স্টেডিয়ামে। ১৯ ও ২১ আগস্ট প্রথম দুটি ৫০ ওভারের ম্যাচ বিকেএসপিতে। তারপর ২৪ আগস্ট তৃতীয় ও শেষ একদিনের ম্যাচটি খুলনায়। প্রথম চার দিনের ম্যাচও খুলনায় (২৮ আগস্ট থেকে)। আর কক্সবাজারে শেষ চার দিনের ম্যাচ শুরু হবে ৪ সেপ্টেম্বর।
এদিকে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু আরও জানিয়েছেন, লঙ্কান ইমার্জিং টিমের বিপক্ষে বাংলাদেশ হাই পারফরমেন্স ইউনিটের ওয়ানডে ও চার দিনের দীর্ঘ পরিসরের সিরিজ শেষ হবার পর সেপ্টেম্বরের ঠিক মাঝামাঝি ১৬ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কা যাবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। সেখানে এ দলের পাশাপাশি এইচপি টিম থেকে ৪/৫ ক্রিকেটারকে নেয়া হবে।
Advertisement
নান্নুর কথায় পরিষ্কার আভাস- শান্ত, সাইফ, নাঈম শেখ, ইয়াসরি রাব্বি আর ইয়াসিন মিশু ও বাঁ-হাতি শফিকুল ইসলামরা থাকবেন বিশেষ বিবেচনায়।
এআরবি/আইএইচএস/এমকেএইচ