অর্থনীতি

দু’মাসের মধ্যে ডিএসইতে সর্বোচ্চ লেনদেন

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৫০০ কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হয়েছে। এর মাধ্যমে বাজারটিতে প্রায় দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হলো। লেনদেনের গতি বাড়ার পাশাপাশি ডিএসই এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকে বেড়েছে।

Advertisement

মূল্য সূচকের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বাজারটিতে দিনভর লেনদেনে অংশ নেয় ৩৫৪টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ১৭৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৬টির। আর ৪৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ায় ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ২৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১৮৭ পয়েন্টে। অপর দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৯৪ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ৯ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮৩৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

দিনভর বাজারটিতে ৫৬৮ কোটি ৭৬ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪৭৭ কোটি ৩৬ টাকা। অর্থাৎ লেনদেন বেড়েছে ৯১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। লেনদেন শুধু আগের কার্যদিবসের তুলনায় বাড়েনি, গত ১৩ জুনের পর মঙ্গলবার ডিএসইতে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। ১৩ জুন বাজারটিতে লেনদেন হয় ৫৭২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এরপর গত দুই মাসের মধ্যে ডিএসইর লেনদেন আর ৫৬০ কোটি টাকার ঘর স্পর্শ করতে পারেনি।

Advertisement

লেনদেন বাড়ার কারণ হিসেবে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনেকে ঈদের খরচ যোগাড় করার জন্য শেয়ার বিক্রি করছেন। আর বেশিরভাগ শেয়ার দাম কম থাকায় বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ শেয়ার কিনে নিচ্ছেন। এ কারণে বাজারে লেনদেনের গতি একটু বেড়েছে।

ডিএসইর এক সদস্য বলেন, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করলেও বর্তমান পরিস্থিতে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার কথা না। কিন্তু বাস্তবে আমরা ভিন্ন পরিস্থিতি দেখতে পারছি। বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকটের কারণে বাজারে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে। আর ঈদের সময় শেয়ার বিক্রির চাপ সাধারণত একটু বেশি থাকে। অনেকে ঈদের খরচের টাকা যোগাড় করতে শেয়ার বিক্রি করেন। এতেও অনেক সময় সেল প্রেশারে (বিক্রির চাপে) শেয়ার দাম কমে।

টাকার অংকে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩০ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা মুন্নু সিরামিকের ২০ কোটি ৩৩ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর ১৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন।

এ ছাড়া বাজারটিতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- জেএমআই সিরিঞ্জ, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যাল, ভিএফএস থ্রেড ডাইং, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি, ফরচুন সুজ, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল।

Advertisement

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৮৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৮৭২ পয়েন্টে। বাজারটিতে হাত বদল হওয়া ২৬৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪৩টির, কমেছে ৯২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির দাম। লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।

এমএএস/এনএফ/এমকেএইচ