ঘণ্টাখানেক পরই ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবনে ‘জালে বন্দি’ মশাদের অগ্নিপরীক্ষা শুরু হবে। মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ নগরপিতা সুদূর সিঙ্গাপুর থেকে বিমানে করে নিয়ে এসেছেন মশক নিধনের উন্নতমানের তিন ধরনের ওষুধ।
Advertisement
আজ (মঙ্গলবার) বিকেলেই মেয়র সাইদ খোকন ও অন্যান্য কর্মকর্তা এবং রোগতত্ত্ববিদদের উপস্থিতিতে আমদানি করা এই ওষুধ মশার ওপর স্প্রে করা হবে। দেখা হবে এর কার্যকারিতা।
এখন নগর ভবনে সবার মুখে মুখে সিঙ্গাপুর থেকে আনা ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। ডেঙ্গুবাহী এডিস মশা দমনে এ ওষুধ কতটা কাজ করে, তা দেখতে অপেক্ষা করছেন সবাই।
সরেজমিন নগর ভবনের পূর্বপ্রান্তে ভান্ডার দফতরে গিয়ে দেখা যায়, সিঙ্গাপুর থেকে আনা ওষুধের একটি সিলগালা বক্স স্টোরের সামনেই রাখা হয়েছে।
Advertisement
ক্রয় ও ভান্ডার (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) কর্মকর্তা মো. লিয়াকত হোসেন জানান, বাকি দুটো ওষুধের বক্স অন্য জায়গায় রাখা হয়েছে। ওষুধগুলোর সবই সিলগালা অবস্থায় রয়েছে।
সম্প্রতি রাজধানীসহ সারাদেশে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন, বিশেষ করে দক্ষিণ সিটির মশার ওষুধের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ওষুধের মান যথার্থ নয় বলে প্রমাণ মেলে। এ অবস্থায় মশক নিধন কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়।
অন্যদিকে উত্তর সিটি কর্পোরেশন থেকে মশা মারার ওষুধ ধার করে দক্ষিণ সিটি। অবশেষে ডেঙ্গুর প্রকোপ প্রতিরোধে জরুরিভিত্তিতে সিঙ্গাপুর থেকে কিনে আনা হলো ওষুধ।
এমইউ/জেডএ/এমএস/জেআইএম
Advertisement