ধর্ষণ ও খুনের মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন শাহেদ শরীফ খান। সেই খুশিতে অফিসে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এই মিষ্টি খেতে গিয়ে অফিসেরই একজন কর্মকর্তা মকবুল হোসেন কেমন যেন অপ্রস্তুত, অপ্রকৃতিতস্থ হয়ে ওঠেন।
Advertisement
তার কেন যেন মনে হয় এক একটা মিষ্টি এক একটা মাংসের টুকরা। মিষ্টি খেতে গিয়ে বমি করে ফেলেন তিনি। বাসায় ফিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দেন মকবুল। স্ট্যাটাসের ভাষা এরকম ‘এ কোন দেশে বাস করি আমরা? ধর্ষক হয়ে উঠেছে রক্ষক। চাঞ্চল্যকর সুফিয়া হত্যা মামলার মূল আসামী শাহেদ শরীফ ধর্ষণ ও হত্যা মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন। অর্থের কাছে মানবতা পরাজিত হয়েছে।
সবচেয়ে উদ্বেগ ও আতংকের বিষয় এই যে, ধর্ষণ ও হত্যা মামলা থেকে ছাড়া পাওয়ার পর শাহেদ শরীফ তার অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে মিষ্টি খাইয়েছেন। মিষ্টি খেতে গিয়ে মনে হলো মিষ্টি নয় হতভাগী সুফিয়ার খন্ডিত দেহের নানা অংশ চিবিয়ে খাচ্ছি। ওয়াক থু...’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মকবুলের এই স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। ঘটনাক্রমে মকবুলের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে ঝুমু স্কুল থেকে হারিয়ে যায়। গ্রাম থেকে মকবুলের আপন মামা ঢাকায় এসে মকবুলের বাসায় ওঠেন। তিনি এসেছেন ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আরেক আসামীকে জেল হাজত থেকে বের করে নেয়ার নোংরা পথ খুঁজতে।
Advertisement
ঘটনাচক্রে মকবুলেরই অফিসের বস শরীফের সাথে তার যোগাযোগ ঘটে এবং ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আরেক এক আসামীকে জেল থেকে ছাড়িয়ে আনার পথও খুঁজে বের করেন এবং খুশির আতিশয্যে মিষ্টি নিয়ে হাজির হন শাহেদ শরীফের অফিসে।
শাহেদ শরীফ মহা আনন্দে মিষ্টি খেতে থাকেন। তখনই তার মোবাইলে একটি ফোন আসে। একটু আগে তার আদরের ভাগনী ছায়া তারই অফিসের একজন কর্মী কর্তৃক ধর্ষিতা হয়েছে।
রেজানুর রহমানের রচনা ও পরিচালনায় সমসাময়িক ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মিত নাটকটিতে অভিনয় করেছেন মামুনুর রশীদ, আহসান হাবীব নাসিম, মৌসুমী হামিদ, জিয়াউল হাসান কিসলু, রওনক বিশাকা শ্যামলী, মনি কানচন, মিন্টু সরদার, কাজী প্যারিস এবং শিশু শিল্পী মীম ও সুবাহ সহ বিভিন্ন নাট্যসংগঠনের শতাধিক নাট্যকর্মী।
চ্যানেল আইতে ঈদের আগের দিন সন্ধ্যে ৭টা ৫০ মিনিটে নাটকটি প্রচার হবে।
Advertisement
এলএ/এমকেএইচ