ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর দেশটির সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় বিতর্কের সময় ব্যাপক উত্তেজিত বাক্য বিনিময় হয়েছে। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল হয়ে যাওয়ার পরদিন মঙ্গলবার সংসদের বিরোধী দলের সদস্যদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর।
Advertisement
এ সময় তিনি বলেন, আমরা কাশ্মীরের জন্য মরবো। কংগ্রেসের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে জানতে চান, কয়েকদিন আগে এস জয়শঙ্কর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে বলেছেন, কাশ্মীর একটি দ্বিপাক্ষিক বিষয়, সুতরাং এখানে হস্তক্ষেপ করবেন না। জম্মু কাশ্মীর কী এখনও অভ্যন্তরীণ বিষয়? আমরা জানতে চাই। কংগ্রেস এ ব্যাপারে আপনার কাছে জানতে চায়।
সংসদে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, জম্মু এবং কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটা ভারতের এবং জম্মু কাশ্মীরের সংবিধান। আইন তৈরি করার পুরো এখতিয়ার সংসদের রয়েছে।
এবার বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা জানতে চান, তাহলে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের ব্যাপারে আপনার অবস্থান কী? কিছুটা উত্তেজিত হয়ে অমিত শাহ বলেন, যখন আমি জম্মু-কাশ্মীরের কথা বলছি, তার মানে হচ্ছে পুরো পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং চীন সীমান্তের আকসাই চীন অঞ্চলও ভারতের... পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে আপনি ভারতের অংশ মনে করেন না?
Advertisement
আরও পড়ুন : কাশ্মীরের সব মসজিদের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বিজেপি সরকার?
এ সময় কংগ্রেসের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী অমিত শাহর কাছে জানতে চান, কেন আপনি উত্তেজিত হচ্ছেন? দেশটির এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি আক্রমণাত্মক হবো, আমরা কাশ্মীরের জন্য মরবো।
এর আগে সোমবার ভারতের এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের একটি প্রস্তাব রাজ্যসভায় উপস্থাপন করেন। রাষ্ট্রপতির সম্মতিতে আনা এই প্রস্তাবে পার্লামেন্টের ২৩৯ সদস্যের মধ্যে ১২৫ জন পক্ষে ভোট দেন; বিরোধিতা করে ভোট দেন ৬১ জন।
পার্লামেন্টে ওই প্রস্তাব পাস হয়ে যাওয়ার পর থেকে কাশ্মীরে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। ২৪ ঘণ্টা গৃহবন্দি করে রাখার পর কাশ্মীরের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফফি ও ওমর আব্দুল্লাহকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। দোকান-পাট বন্ধ, মোবাইল নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার; ফলে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে এই উপত্যকা।
Advertisement
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।
এসআইএস/পিআর