বরগুনায় আমেনা বেগম (৫৫) নামে এক নারীর মৃত্যু নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। তিনি পাইরোকসিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেও এলাকায় ডেঙ্গুজ্বরে মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচারিত হচ্ছে।
Advertisement
জানা গেছে, শরীরে জ্বর নিয়ে গত ১ আগস্ট আমেনা বেগম বরগুনা জেনালের হাসপাতালে আসলে চিকিৎসকরা তাকে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ৫ আগস্ট বিকেলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। এরপর অ্যাম্বুলেন্সে করে বরিশাল নেয়ার পথে পটুয়াখালীর সুবিতখালী এলাকায় মারা যান তিনি।
আমেনা বেগম বরগুনা সদর উপজেলার নলটোনা ইউনিয়নের আবদুর রাজ্জাক মুন্সীর স্ত্রী।
নলটোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম বলেন, আমেনা বেগম আমার প্রতিবেশী। তার মৃত্যুর খবর পেয়েই আমি তাদের বাড়িতে এসে তার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাকে জানিয়েছেন- বেশ কিছুদিন ধরে জ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত থাকার পর গত ১ আগস্ট আমেনা বেগমকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে ওই হাসপাতালের নারী ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, স্বজনদের ধারণা আমেনা বেগম ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আসলে তিনি কোন রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন, স্বজনরা সঠিকভাবে তা জানে না বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কামরুল আজাদ বলেন, জ্বর ও ডায়রিয়া নিয়ে হাসপাতালে আসার পর আমেনা বেগমের ডেঙ্গুসহ বেশ কয়েকটি রোগের পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় তার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়েনি। তিনি পাইরোকসিয়াসহ আরও কয়েকটি রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এ কারণে তাকে ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আমেনা বেগম দু সপ্তাহেরও বেশি জ্বরের পাশাপাশি ডায়রিয়ায় ভুগছিলেন। ডেঙ্গুজ্বর ৮ থেকে ১০ দিন থাকে। এ থেকেই বোঝা যায় তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ছিলেন না। মূলত পাইরোকসিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় জ্বরের পাশাপাশি অতিরিক্ত পাতলা পায়খানার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। পাইরোকসিয়া রোগে আক্রান্ত এই রোগীর মৃত্যু নিয়ে বিভ্রান্ত ছাড়ানোর কিছু নেই বলেও জানান তিনি।
মো. সাইফুল ইসলাম মিরাজ/এমএমজেড/পিআর
Advertisement