দেশজুড়ে

চা মুড়ি বিস্কুট ছাড়া চলে না যুবরাজের!

নাম যুবরাজ। আচার-আচারণেও তেমন। রোদে যেতে পারে না। সারাক্ষণ ফ্যানের নিচে থাকতে হয়। খাওয়া-দাওয়ায়ও রুচির পরিচয় মেলে। স্বাভাবিক খাবারের সঙ্গে দিতে হয় চা, মুড়ি ও বিস্কুট! বলছিলাম কোরবানির জন্য প্রস্তুত পশু (ষাঁড়) যুবরাজের কথা।

Advertisement

যুবরাজকে দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছে দূর-দূরান্তের ক্রেতারা। বলা হচ্ছে, এটি জেলার সবচেয়ে বড় ষাঁড়। কোরবানির হাটে যুবরাজের দাম হাঁকা হচ্ছে ২০ লাখ টাকা।

কিশোরগঞ্জে দেশীয় পদ্ধতিতে লালন করা যুবরাজ এখন বিক্রির জন্য প্রস্তুত। নজরকাড়া রঙ আর বিশালাকৃতির যুবরাজকে পরম মমতায় বড় করে তুলেছেন শৌখিন খামারি আশিকুল ইসলাম শ্যামল।

কিশোরগঞ্জ শহরের হয়বতনগর বটতলা এলাকার মো. আব্দুল কদ্দুসের ছেলে শৌখিন খামারি আশিকুল ইসলাম শ্যামলের খামারে যুবরাজসহ দুটি ষাঁড় আর দুটি গাভী রয়েছে। তবে সবার নজর কাড়ছে যুবরাজ। যুবরাজের উচ্চতা ৬ ফুট ২ ইঞ্চি, বুকের বেড় প্রায় ৮ ফুট। কালো রঙের দৃষ্টিনন্দন যুবরাজের দাম হাঁকা হচ্ছে ২০ লাখ টাকা। এরই মধ্যে বাজারে দাম উঠেছে ১৪ লাখ।

Advertisement

যুবরাজের বয়স মাত্র তিন বছর। এরই মধ্যে তার ওজন দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫০ কেজি। শ্যামলের খামারের একটি গাভীর পেটে জন্ম নেয়া ব্রাহমা জাতের এ ষাঁড়টি অনেক যত্ন করে বড় করেছেন তিনি। ঘাস, কুড়া, খৈল, ভুসিসহ স্বাভাবিক খাবার দেয়া হয় যুবরাজকে। সেই সঙ্গে চা, মুড়ি ও বিস্কুটও তার চাই। অন্যান্য খাবারেও অরুচি নেই যুবরাজের।

প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে যুবরাজকে দেখতে আসছেন অনেকে। কেনার আগ্রহ দেখিয়ে করছেন দরদাম। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলা থেকে যুবরাজকে দেখতে এসেছেন আবুল হাসনাত নামের এক ব্যক্তি।

তিনি বলেন, ‘কোরবানির ঈদে একটি দৃষ্টিনন্দন পশু কোরবানি দিতে চাই। যুবরাজের কথা কদিন আগে জানতে পারি। তাই তাকে দেখতে এসেছি। যুবরাজকে পছন্দ হয়েছে। দরদাম করছি। দামে মিলে গেলে কিনে নিয়ে যাব।'

আশিকুল ইসলাম শ্যামল জানান, অনেক যত্ন করে আমি যুবরাজকে লালন-পালন করেছি। তাকে নিজের হাতে গোসল করাই, খেতে দেই। সবুজ ঘাস, খড়, ভুসিসহ স্বাভাবিক খাবার দেই। কোনো প্রকার ওষুধ ব্যবহার না করে দেশীয় পদ্ধতিতে তাকে বড় করা হয়েছে। ২০ লাখ টাকা দাম চাচ্ছি। এ পর্যন্ত ১৪ লাখ টাকা দাম উঠেছে। আর কিছু বেশি হলেও বিক্রি করব।

Advertisement

জেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. বাহাদুর আলী জানান, এটি ব্রাহমা জাতের ষাঁড়। প্রাণিসম্পদ বিভাগের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় যুবরাজকে লালন করা হয়েছে। এ জাতের ষাঁড় লালন করে অনেকে লাভবান হচ্ছেন। তাই এটি সারাদেশে লালন করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় চার কেজি করে এর ওজন বৃদ্ধি পায়।

নূর মোহাম্মদ/এমবিআর/জেআইএম