ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা ও ৩৫ (ক) ধারা তুলে দেয়ায় কাশ্মীর অঞ্চলের মুসলমানদের নিরাপত্তা বিপন্ন ও নাগরিক অধিকার স্থায়ীভাবে লুণ্ঠিত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ।
Advertisement
সোমবার দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট বদরুদ্দোজা সুজা, মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদার ও স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য আতিকুল ইসলাম এক যুক্ত বিবৃতিতে এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
মুসলিম লীগের অতিরিক্ত মহাসচিব কাজী এ এ কাফীর স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ ভারত, সংবিধানে সংশোধন একান্তই তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু যখন সংবিধান সংশোধনের সঙ্গে মানবতা, গণতান্ত্রিক রীতিনীতি, ধর্মীয় জাতি ও একটি উপমহাদেশের নিরাপত্তা জড়িয়ে যায় তখন বিষয়টি কোনোভাবেই আর অভ্যন্তরীণ বিষয় থাকে না।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভারতীয় সংবিধান সংশোধনের কারণে বিশ্ব-মোড়লদের দক্ষিণ এশিয়ায় রাজনীতি করার ক্ষেত্র অবমুক্ত করবে, যা অদূর ভবিষ্যতে গোটা উপমহাদেশকে অশান্ত ও অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। শুধু একটি অঞ্চলের একটি ধর্মীয় গোষ্ঠী কাশ্মীরী মুসলমানদের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য সংবিধান পরিবর্তন করার মতো ঘটনা বিশ্ব দরবারে ভারতীয় গণতন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। সংবিধানের এ পরিবর্তনই আভাস দিচ্ছে, বৃহত্তর গণতন্ত্রের দেশ আমাদের প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র আর মহাত্মা গান্ধী-জহরলাল নেহেরু-আবুল কালাম আজাদদের ধর্মনিরপেক্ষ ভারত থাকছে না, অচিরেই নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ-সুব্রামানিয়াম স্বামীদের ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে।’
Advertisement
কেএইচ/এমএআর/জেআইএম