কোনো সনদপত্র নয় সমাজসেবা অধিদফতরের জেলা, উপজেলা ও শহর কার্যালয়ের দেয়া পরিচয়পত্রের ভিত্তিতেই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চাকরি বা অন্যান্য সুবিধা দিতে হবে।
Advertisement
সম্প্রতি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করেছে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে উপযুক্ত চিকিৎসা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দেয়ার মাধ্যমে দারিদ্র্য নিরসন ও জীবনমান উন্নয়নে প্রতিবন্ধিতার ধরন চিহ্নিতকরণ, মাত্রা নিরূপণ ও কারণ নির্দিষ্টকরণের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন সমাজসেবা অধিদফতর ২০১৩ সাল থেকে দেশব্যাপী প্রতিবন্ধী শনাক্তকরণ জরিপ কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। এ পর্যন্ত সারাদেশে প্রায় ১৬ লাখ ৬১ হাজার প্রতিবন্ধীর তথ্য সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মনোনীত চিকিৎসকদের সহায়তায় প্রতিবন্ধিতার ধরন ও মাত্রা নিরূপণ করা হয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সমাজসেবা অধিদফতরের অধীন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়, শহর সমাজসেবা কার্যালয় ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন-২০১৩’ অনুযায়ী পরিচয়পত্র দেয়া হচ্ছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।
আরও বলা হয়, ‘সাম্প্রতিকালে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর ও পরিদফতরসহ সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চাকরি দেয়ার ক্ষেত্রে সমাজসেবা অধিদফতরের অধীন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়, শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের দেয়া পরিচয়পত্র বিবেচনায় না নিয়ে জেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে সনদপত্র চাওয়া হচ্ছে, যা ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন-২০১৩’ এর পরিপন্থী। এই আইনের ৩১ ধারার উপধারা (৬) এ উল্লেখ রয়েছে যে, ‘এই ধারার অধীন ইস্যুকৃত পরিচয়পত্র ব্যতীত কোনো প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এ আইন বা অন্য কোনো আইনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য নির্ধারিত কোনো সুবিধা গ্রহণ করিতে পারিবে না।’
Advertisement
এ অবস্থায় চাকরিসহ অন্যান্য সুবিধাদি দিতে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়, শহর সমাজসেবা কার্যালয় থেকে দেয়া পরিচয়পত্রকে মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে পরিপত্রে।
পরিপত্রটি মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সব মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।
আরএমএম/জেএইচ/এমএস
Advertisement