একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক কিশোরগঞ্জের নিকলি থানার সৈয়দ মো. হুসাইন ও মোহাম্মদ মোসলেম প্রধানের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেছে প্রসিকিউশন। আগামী ৮ অক্টোবর মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন আদালত। সোমবার ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। আদালতে শুনানি করেন প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, জেয়াদ আল মালুম, তাপস কান্তি বল ও রেজিয়া সুলতানা চমন। এর আগে প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ সাংবাদিকদের বলেন, এই মামলার তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিলো। আমরা তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করেছি। আগামী ৮ অক্টোবর এ মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে। সৈয়দ মো. হুসাইন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কিশোরগঞ্জের তাড়াইল থানার রাজাকার কমান্ডার পলাতক সৈয়দ মো. হাসান আলী ওরফে হাছেন আলীর ছোট ভাই। হুসাইন একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় নিকলি থানার রাজাকার কমান্ডার ছিলেন।প্রসিকিউশন আদালতকে জানান, নিকলির রাজাকার কমান্ডার সৈয়দ মো. হুসাইন (৬৪) ও তার সহযোগী মোহাম্মদ মোসলেম প্রধানের (৬৬) বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্তে হত্যা, ধর্ষণ ও অপহরণসহ ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্ত এখনও চলছে। প্রসিকিউশন আদালতকে আরো জানান, আসামি এবং তাদের লোকজন তদন্ত কাজে বাধা ও সাক্ষীদের ভয়-ভীতি দেখাচ্ছেন। এ কারণে তদন্তের স্বার্থে তাদেরকে গ্রেফতার করা প্রয়োজন। হুসাইনের বড় ভাই হাসান আলীকে গত ৯ জুন ফাঁসি অথবা ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। এফএইচ/এসআইএস/আরআইপি
Advertisement