বিনোদন

তাহসানের গানে নোবেলের সঙ্গে দ্বন্দ্ব মোনালির

সমালোচনা পিছু ছাড়ছে না নোবেলের। জি বাংলার সংগীত রিয়েলিটি শো ‘সা রে গা মা পা ২০১৯’ এ অংশ নিয়ে দ্বিতীয় রানার আপ হন তিনি। শোজুড়েই আলোচনায় থাকার পরও কেন তিনি তৃতীয় হয়েছেন এ নিয়ে অনেক প্রতিবাদ জানিয়েছেন নোবেল ভক্তরা। সম্প্রতি জাতীয় সংগীত নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কিত হন এই গায়ক।

Advertisement

এরপর নোবেলকে ঘিরে সা রে গা মা পা শোয়ের সময়ের নানা বিতর্কিত বিষয়ও সামনে আসতে থাকে। ভারতীয় এক গণমাধ্যমে নিউজ প্রকাশিত হয় শো’র এক বিচারকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছিলেন নোবেল। সা রে গা মা পা’র সেই বিচারককে নোবেল বলেছিলেন, ‘নোবেলের গান বিচার করার ক্ষমতা তার নেই।’ এই ঘটনার পর বেশ কিছুদিন চ্যানেল কর্তৃপক্ষ সাসপেন্ড করে নোবেলকে।

শোনা গিয়েছে, ওই শোয়ের বাকি প্রতিযোগীদের কাছেও তিনি বেশ নাক উঁচু ভাব নিয়েই চলতেন। এদিকে সোশ্যাল মিডিয়াতে খবর ছড়ায়, সা রে গা মা পা এর বিচারক মোনালি ঠাকুরের সঙ্গে নোবেলের দ্বন্দ্ব হয়েছিলো একটি গানের নম্বর দেয়া নিয়ে। সে পর্বের নোবেলের গাওয়া গানটি ছিল তাহসানের ‘বিন্দু আমি’।

জানা যায়, এই গান শুনে অন্য দুইজন বিচারক নোবেলকে ৯ করে নম্বর দিলেও মোনালি নম্বর দিয়ে দেন ১০ এর মধ্যে মাত্র ‘৪’। মোনালি কারণ হিসেবে জানান, ‘এই গানের কথাই বোঝা যায়নি।’ নোবেল মোনালিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘গানটি আসলে এমনই- আপনি শুনে দেখুন’- আর এতেই তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠেন মোনালি। এমনকি তিনি বিচারকের আসন ছেড়ে উঠে চলে যান।

Advertisement

বাংলাদেশের তুমুল জনপ্রিয় গান ‘বিন্দু আমি’। শোনা যায়, নোবেলকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছিল মোনালি ঠাকুরের নিকট। কিন্তু নোবেল বুঝে উঠতে পারছিলেন না ঠিক কী কারণে তাকে ক্ষমা চাইতে হবে। আর এই কারণেই পিছিয়ে যায় নোবেল।

সব মিলিয়ে এখনো সমালোচনা থেমে নেই নোবেলকে নিয়ে। অন্যদিকে সমান তালে স্টেজ শো করে ব্যস্ত সময় পার করছেন এই গায়ক।

এমএবি/এলএ/এমকেএইচ

Advertisement