রাজনীতি

আইনমন্ত্রী মিথ্যা বলেছেন, দাবি ফখরুলের

জেনেভায় মানবাধিকারের ওপর অনুষ্ঠিত কনভেনশনে আইনমন্ত্রী মিথ্যা বলেছেন। এমন দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

Advertisement

ফখরুল বলেন, কয়েকদিন আগে জেনেভায় মানবাধিকারের ওপরে নির্যাতনবিরোধী একটা গুরুত্বপূর্ণ কনভেনশন হয়েছে। বর্তমান সরকার ১০/১২ বছর ধরে ক্ষমতায়, কিন্তু কোনো জবাবদিহিতা করেনি। জাতিসংঘের ওই কমিটি নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে বাংলাদেশকে ডাকে এবং বাংলাদেশে যে নির্যাতন হয় সে সম্পর্কে সরকারের বক্তব্য কী জানতে চায়। সেখানে আমাদের আইনমন্ত্রী অবলীলায় মিথ্যা কথা বলেছেন। আইনমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশে কোনো গুম-খুনের ঘটনা তার জানা নেই।

সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের সাহায্যার্থে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, আজ (সোমবার) পত্রিকায় দেখেছি, একজন সিনিয়র সাংবাদিক মুশফিকুর রহমান গুম হয়ে গেছেন। তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের এমপি ছিলেন ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম কমিশনার ছিলেন, তাদের এখন পর্যন্ত খুঁজে পাইনি। আমাদের ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, বিএনপির প্রায় ৫০০ নেতাকর্মী গুম হয়েছেন। তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি।

Advertisement

‘আমরা এমন দেশে বাস করছি যেখানে আমাদের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। সরকার নিজেদের সুরক্ষার জন্য দুর্নীতি করছে এবং দুর্নীতির টাকা দিয়ে বিদেশে বাড়ি বানাচ্ছে। যেখানে তারা বসবাসের জন্য ব্যবস্থা করছে।’

ফখরুল বলেন, মিডিয়া অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে ডেঙ্গু সমস্যাকে সারা জাতিসহ বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে। না হলে সরকার যা শুরু করেছিল, তারা তো গুজব বলেই উড়িয়ে দিত। মিডিয়া এটাকে সামনে নিয়ে এসে এখন পর্যন্ত যে ভূমিকা পালন করছে সেটা দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য প্রশংসিত।

তিনি বলেন, আজকের পত্রিকায়ও আছে, গতকাল (রোববার) ১৭৬০ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে শুধু ঢাকায়। এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১৭ হাজারের ওপরে। অথচ মন্ত্রী যিনি দায়িত্বে আছেন, মেয়র সাহেবরা কী বলেছেন সেটা রিপিট করতে চাই না। আসলে এদের কোনো লজ্জা নেই, শরম নেই, হায়া নেই, যেটাকে বলে বেহায়া, বেশরম। এরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। সেহেতু তাদের জবাবদিহিতা নেই। তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে যেকোনো প্রকারে ক্ষমতায় টিকে থাকা এবং জনগণের অর্থ লুণ্ঠন করা। সংসদে তো এখন কিছুই নেই। ওখানে তথাকথিত তাদের পছন্দ মতো একটা বিরোধী দল দাঁড় করিয়ে রেখেছে। এ সরকার একেবারেই গণবিরোধী একটা সরকার। জনগণের স্বার্থবিরোধী সরকার। মানুষের ন্যূনতম অধিকার লুণ্ঠনকারী সরকার।

স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব ও মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেল, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলী প্রমুখ।

Advertisement

কেএইচ/এমএআর/জেআইএম