কয়েকদিন আগে রাস্তায় ময়লা ফেলে ময়লা পরিষ্কার করতে গিয়ে বিতর্কিত হয়েছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। এবার সে বিতর্কে নাম লেখাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
Advertisement
সাধারণত ভোর থেকেই সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা রাস্তা ঝাড়ু দিয়ে থাকেন। পরে সিটি কর্পোরেশনের গাড়ি সেগুলো অন্যত্র নিয়ে যায়। এটি সিটি কর্পোরেশনের রুটিনওয়ার্ক। অথচ পরিচ্ছন্ন রাস্তায় ময়লা ফেলে সেটি পরিষ্কার করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিন ক্যাম্পাস উইকের উদ্বোধন করা হলো।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহকে ‘ক্লিন ক্যাম্পাস উইক’ হিসেবে পালন করা হবে।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ‘ক্লিন ক্যাম্পাস উইক’ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
Advertisement
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, ডাকসু’র এজিএস মো. সাদ্দাম হোসেনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ডাকসু’র নেতারা, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্টরা।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সকালে ‘ক্লিন ক্যাম্পাস উইক’-এর উদ্বোধনের কথা ছিল উপাচার্যের। বেলা ১১টায় উপাচার্যের উদ্বোধনের আগে সেখানে ময়লা ছিটিয়ে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা। এরপর ঘটা করে সে ময়লা পরিষ্কার করে ক্লিন ক্যাম্পাস উইক উদ্বোধন করা হয়। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, যেখানে কোনো দিন সকালে ময়লা পড়ে থাকতে দেখি না সিটি কর্পোরেশন ভোরেই পরিষ্কার করে, সেখানে ময়লা ফেলে ময়লা পরিষ্কার লোক দেখানো ছাড়া আর কিছুই না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও যদি মন্ত্রী কিংবা মেয়রের মত লোক দেখানো কাজে হাটে তাহলে এটা হতাশার। ময়লা না ফেলেও ক্লিন ক্যাম্পাস উইথ উদ্বোধন করা যেত।
কর্মসূচি উদ্বোধনকালে উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, একটি সুন্দর, স্বাস্থ্যসম্মত, পরিচ্ছন্ন ও নান্দনিক ক্যাম্পাস নির্মাণের লক্ষ্যে প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ‘ক্লিন ক্যাম্পাস উইক’ শীর্ষক পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ডাকসুর যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এই অভিযানের ফলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে আমাদের মনস্তাত্ত্বিক জগতের একটি পরিবর্তন হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
Advertisement
উপাচার্য আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার একটি বার্তা ও সংস্কৃতি শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টিভঙ্গিতে থাকতে হবে। বর্তমানে ডেঙ্গু রোগ মহামারি আকার ধারণ করেছে। ডেঙ্গুসহ যেকোনো রোগ প্রতিরোধে নিজ নিজ এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবার প্রতি আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এমএইচ/জেএইচ/জেআইএম