কাশ্মীরের পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রধান এবং সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিকে সন্ত্রাসী ঘোষণা করে কারাগারে পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে শিব সেনা। দলটির পক্ষ থেকে সোমবার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসী কথাবার্তা বলার কারণে মেহবুবা মুফতিতে জেলে ঢোকানো উচিত।
Advertisement
সোমবার সকালে ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় কাশ্মীরকে দেয়া বিশেষ সুবিধা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এই ঘোষণা দেন।
জওহরলাল নেহেরুর আমলে ভারতীয় সংবিধানে কাশ্মীরকে দেয়া বিশেষ মর্যাদার ৩৭০ ধারাটি বাতিলের নির্দেশনা দিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
একই সঙ্গে কাশ্মীর থেকে ভেঙে আলাদা করে দেয়া হয়েছে লাদাখকে। এর ফলে মূলত নতুন করে কাশ্মীরের ইতিহাস রচনা করতে চলেছে মোদি সরকার। দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হচ্ছে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ। দুই জায়গাতেই দুজন লে. গভর্নর নিয়োগ করা হবে।
Advertisement
উল্লেখিত অনুচ্ছেদটি বাতিলের কারণে অবধারিতভাবে সংবিধানের ৩৫-ক ধারারও বিলুপ্তি ঘটল। এই ঘটনায় হুশিঁয়ারি উচ্চারণ করেছেন মেহবুবা মুফতি। তিনি বলেছেন, কাশ্মীরের মানুষ আত্মত্যাগের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীর এটা মেনে নেয়া উচিত নয়। তবে শিব সেনার তরফ থেকে তার এই হুঁশিয়ারিকে সন্ত্রাসবাদের ভাষা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
দলের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ত্রাসবিরোধী একটি শক্তিশালী আইন তৈরি করেছেন এবং তা পার্লামেন্টে পাস হয়েছে। এই আইন অনুযায়ী, কেউ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে তাকে সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা করা যাবে এবং তাকে বিচারের আওতায় আনা হবে। এই আইনের আওতায় মেহবুবা মুফতিকেও সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা করে জেলে পাঠানো উচিত। না হলে কাশ্মীরে সহিংসতা তৈরিতে তার যে পরিকল্পনা তা বাস্তবায়ন হয়ে যাবে।
ভারতীয় সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৫-এ হিসেবে পরিচিত সংবিধানের অনুচ্ছেদটি প্রথম থেকেই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ উপত্যকাটি এবং দক্ষিণপন্থী হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির বিবাদের অন্যতম কারণ। বিজেপি বহু আগে থেকেই এই আইনটি বিলোপের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছিল। অনেকেই মনে করেন, ভারতীয় সংবিধান কাশ্মীরকে যে বিশেষ মর্যাদা দেয় তার অন্যতম ভিত্তি এই আইন।
৩৭০ ধারাটি বাতিলের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে শিব সেনা প্রধান উদ্দাভ ঠাকরে বলেন, এক অর্থে দেশ এখন পুরোপুরি স্বাধান হলো। তিনি বলেন, আজ আমাদের দেশ পুরোপুরি স্বাধীন।
Advertisement
টিটিএন/এমকেএইচ