ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে একটি বিদ্যালয়ের দফতরি কাম নৈশপ্রহরীকে নির্যাতন করে কানের পর্দা ফাটিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার রাতে সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের খাকচাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
Advertisement
অভিযুক্ত এসআই জামিরুল ইসলাম সদর মডেল থানায় কর্মরত। এ ঘটনায় সোমবার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আহত দফতরি মো. উবায়দুল্লা। তিনি খাকচাইল গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাত ১০টার দিকে এসআই জামিরুলের নেতৃত্বে সদর মডেল থানার ছয় পুলিশ সদস্য খাকচাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান। সেখানে তারা বিদ্যালয়ের দফতরি উবায়দুল্লার কক্ষের দরজায় টোকা দেন। দরজা খোলার পর এখানে বশির নামে কেউ আছে কি-না জানতে চান। এ নামে কেউ নেই বলার পরও তারা উবায়দুল্লার পকেটে হাত দেন। পকেট হাতিয়ে কিছু না পেয়ে আবার বলেন বাচ্চু নামে কেউ আছেন কি-না। এরপর উবায়দুল্লাকে স্কুলের সব শ্রেণি কক্ষের দরজা খুলতে বলেন এসআই জামিরুল।
পরে আবার তারা উবায়দুল্লার পকেট চেক করার নামে কয়েকটি ইয়াবা ট্যাবলেট ঢুকিয়ে দেন। এরপরই জামিরুল তাকে বলেন, ‘তুই ইয়াবা ব্যবসা করছ, আর কোথায় কোথায় ইয়াবা আছে বল।’ এসব বলার পরই উবায়দুল্লাকে বেদম পেটাতে থাকেন জামিরুল ও অন্য পুলিশ সদস্যরা। দুই কানে এবং মাথায় এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারা হয় উবায়দুল্লাকে। এতে তার কানের পর্দা ফেটে যায়। খবর পেয়ে উবায়দুল্লার বাবা নুরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এলে তাকে আটক করে সাদা কাগজে জোর করে স্বাক্ষর নেন জামিরুল।
Advertisement
এরপর স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু তালেব আসার পর দুই হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে উবায়দুল্লা ও তার বাবাকে ছাড়া হয়। তবে এ ঘটনা সম্পর্কে কাউকে জানালে মাদক মামলা ফাঁসানোরও হুমকি দেন জামিরুল। ঘটনার পরদিন রোববার উবায়দুল্লাকে প্রথমে জেলা সদর হাসপাতাল ও পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নাক কান গলা রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখানো হয়।
তবে এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন এসআই জামিরুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেজাউল কবির জাগো নিউজকে জানান, অভিযোগটি তদন্ত করে যদি সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে এসআই জামিরুলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আজিজুল সঞ্চয়/আরএআর/জেআইএম
Advertisement