কোমল পানীয় সববয়সী মানুষই পান করে থাকেন। এমনকি খাওয়া-দাওয়ার পরে কোমল পানীয় এক ধরনের ঐতিহ্যে রূপ নিয়েছে। বিশেষ করে তরুণরা একে ফ্যাশন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। কিন্তু আমরা জানি না যে, নিজের অজান্তেই শরীরের কত বড় ক্ষতি করছি। তাই জেনে নিন কোমল পানীয়ের ক্ষতিকর দিকসমূহ। বিস্তারিত জানাচ্ছেন মো. বিল্লাল হোসেন-
Advertisement
ক্যান্সার: কোমল পানীয়তে ক্যারামেল কালার ব্যবহার করা হয়, যা কারসিনোজেন (ক্যান্সার সৃষ্টিকারী পদার্থ) হিসেবে কাজ করে। এটি সাধারণত টিনের ক্যানে সংরক্ষণ করা হয়। এ ক্যান বিসফেনল নামক কারসিনোজেনের উৎস। অর্থাৎ কোমল পানীয় ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
স্থূলতা: কোমল পানীয়তে রয়েছে প্রক্রিয়াজাত চিনি, যা শরীরের স্থূলতা বাড়াতে সহায়তা করে। অনেকে স্থূলতা বাড়ানোর জন্যই কোমল পানীয় গ্রহণ করে থাকেন।
দাঁতের ক্ষয়: অতিরিক্ত চিনি মুখের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা ভেঙে অ্যাসিড তৈরি করে। এই অ্যাসিড দাঁত ক্ষয়ের মূল কারণ।
Advertisement
ডায়বেটিস: কোমল পানীয়ের চিনি হঠাৎ করেই রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে টাইপ-টু ডায়বেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আমেরিকান ডায়েট অ্যাসোসিয়েশনের গবেষণা অনুযায়ী, নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস মেনে চলার মাধ্যমে এ ঝুঁকি কমানো সম্ভব। তবে পুরোপুরি নাকচ করা সম্ভব হয় না।
হৃদরোগ: গবেষণা বলছে, কোমল পানীয় ‘মেটাবলিক সিন্ড্রোম’ বা বিপাকীয় প্রক্রিয়ার বিভিন্ন সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। যা ক্রমেই ঠেলে দেয় হৃদরোগের দিকে। কারণ এতে যে চিনি রয়েছে, তা আপনার ক্ষুধা কমিয়ে দেবে। এমনকি ফল-মূল ও শাক-সবজি খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেবে। যারা নিয়মিত কোমল পানীয় নেন, তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি।
হাড় ক্ষয়: কোমল পানীয়তে রয়েছে ফসফরিক অ্যাসিড, যা ক্যালসিয়াম মেটাবলিজমে বাধা দেয় এবং হাড় ক্ষয় তরান্বিত করে।
কিডনি রোগ: ফসফরিক অ্যাসিড মূত্রনালীর বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করে এবং কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
Advertisement
আসুন কোমল পানীয় পরিহার করি। ফল-মূল দিয়ে তৈরি জুস পান করি। পরিমিত পানি পান করি। সুস্থ-সুন্দর জীবনযাপন করি।
লেখক: শিক্ষার্থী, ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগ, জীববিজ্ঞান অনুষদ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
এসইউ/পিআর