কাশ্মীরকে দেয়া বিশেষ সুবিধা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। সোমবার সকালে ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। আর ঘোষণার পর বিক্ষোভ দমনে আরও ৮ হাজার আধাসামরিক সেনা পাঠানো হচ্ছে।
Advertisement
ভারতীয় টেলিভিশন এনডিটিভির প্রতিবেদনে সূত্রের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, বিমানবাহিনীর সামরিক পরিবহন বিমানে করে আজই (সোমবার) জম্মু-কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরে ৮ হাজার সেনা পাঠানো হবে। গত কয়েক সপ্তাহে সেখানে অতিরিক্ত ৩৫ হাজার সেনা মোতায়েন করা হলো।
ভারতভিত্তিতক সংবাদ সংস্থা এএনআই তাদের এক প্রতিবেদনে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সূত্রের বরাত জানিয়েছে, সেনাবাহিনী এবং বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কতায় থাকার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। কেনন যেকোনো সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে।
আরও পড়ুন>> কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করল ভারত
Advertisement
সূত্রের বরাতে এএনআই বলছে, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার বিলোপ করার ঘোষণা দেয়া হবে তাই গত কিছুদিন ধরে বিতর্কিত উপত্যকাটিতে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানো শুরু করে মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার। উল্লেখ্য কাশ্মীরে প্রতি ১০ জন মানুষের জন্য একজন সেনা মোতায়েন রয়েছে।
সোমবার রাজ্যসভার অধিবেশন শুরু হতেই সংবিধানের ৩৭০ ধারা তুলে দেয়ার ঘোষণা দেন অমিত শাহ। সঙ্গে সঙ্গে বিরোধীরা তুমুল হই হট্টগোল জুড়ে দেন। কয়েক মিনিটের জন্য অধিবেশন মুলতবি করা হয়। পুনরায় অধিবেশন শুরু হলে বিরোধীদের হট্টগোলের মধ্যেই রাষ্ট্রপতির নির্দেশনামা পড়ে শোনান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন> ভারতকে উপযুক্ত জবাব দেয়ার হুমকি ইমরান খানের
ভারতীয় সংবিধানের ৩৫-ক ধারা অনুযায়ী কাশ্মীরের বাসিন্দা নয়—এমন ভারতীয়দের সম্পদের মালিক হওয়া এবং চাকরি পাওয়ায় বাধা আছে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জম্মু ও কাশ্মীরের এমন এক স্বায়ত্তশাসন রয়েছে, যা ১৯৪৭ সালের পর দক্ষিণ এশিয়ার আর কোনো ‘দেশীয় রাজ্য’ পায়নি।
Advertisement
অনুচ্ছেদ ৩৭০ ভারতীয় রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীরকে নিজেদের সংবিধান ও একটি আলাদা পতাকার স্বাধীনতা দেয়। এছাড়া পররাষ্ট্র সম্পর্কিত বিষয়াদি, প্রতিরক্ষা এবং যোগাযোগ বাদে অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে স্বাধীনতার নিশ্চয়তাও দেয়।
এসএ/এমকেএইচ