ডেঙ্গুর একটি বিতর্কিত ভ্যাক্সিন ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছে ফিলিপাইন। চলতি বছর ফিলিপাইনে এক লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। ফিলিপাইন ইন্টিগ্রেটেডে ডিজিস সার্ভেইলেন্স অ্যান্ড রেসপন্স (পিআইডিএসআর) জানিয়েছে, এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে প্রায় পাঁচশ জন।
Advertisement
পিআইডিএসআর বলছে, গত বছরের চেয়ে এবার পুরো ফিলিপাইনেই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেছে। ২০১৮ সালের তুলনায় এই ৮৫ শতাংশ বেশি। এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় একটি বিতর্কিত ভ্যাক্সিন আবারও ফিরিয়ে আনার চিন্তা করা হচ্ছে।
রাজধানী ম্যানিলায় অবস্থিত সান লাজারো হাসপাতালের চিকিৎসক ড. রন্টগেন সোলানতে বলেন, ডেঙ্গুর বিতর্কিত ভ্যাক্সিন হিসেবে পরিচিত ডেংভ্যাক্সিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্তের পক্ষে ছিলেন তিনি। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন অঞ্চলে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে।
ওই হাসপাতালে প্রাপ্তবয়স্কদের সংক্রামক রোগ বিষয়ক প্রধান চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সোলানতে। তিনি বলেন, ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে কোন ভ্যাক্সিন না থাকার চেয়ে বরং ডেংভেক্সিয়ার ফিরিয়ে আনাটা বেশি ভালো ছিল।
Advertisement
তিনি বলেন, যদি ভ্যাক্সিনের কারণে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কমে যায় বা গুরুতর রোগের ক্ষেত্রে এটা কার্যকরী হয় অথবা লক্ষণজনিত ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে কার্যকরী হয় তবে এটা কেন গ্রহণ করা যাবে না?
তিনি আরও বলেন, যদি সব কিছু ভালোভাবে করা যায় এবং যদি এক্ষেত্রে এমন সুপারিশ থাকে যে, ভ্যাক্সিন ব্যবহার করা নিরাপদ ও কার্যকরী তাহলে আমি বলতে চাই, যেসব দেশে ডেঙ্গু সংক্রমণ বেড়ে গেছে সেখানে এটা আরও বেশি উপকারী।
তবে এই ভ্যাক্সিন নিয়ে বিতর্ক থাকায় তা আবারও ফিরিয়ে আনার বিষয়ে দ্বন্দ্বে ছিল ফিলিপাইন সরকার। এর আগে ২০১৭ সালে এই ভ্যাক্সিন বিক্রি এবং স্কুল শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই টিকা প্রদান বন্ধ করা হয়। সে সময় ফ্রান্সের ফার্মাসিউটিকাল কোম্পানি সানোফি এটা স্বীকার করেছিল যে, যারা কখনও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়নি তাদের যদি এই টিকা দেয়া হয় তবে তাদের শরীরে ডেঙ্গুর বেশ কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
এই ভ্যাক্সিনটি শুধু তাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য যারা অন্তত একবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু যারা কখনোই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হননি তারা ভ্যাক্সিনটি গ্রহণ করতে পারবেন না। শুধু ফিলিপাইনেই নয়, বর্তমানে বাংলাদেশ, ভারত, সিঙ্গাপুরেও ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে গেছে। এক্ষেত্রে কার্যকরী ভ্যাক্সিন আনা সম্ভব হলে এই প্রকোপ অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
Advertisement
টিটিএন/এমকেএইচ