শিশুর সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে মাতৃদুগ্ধের বিকল্প নেই। ব্রেস্টফিডিং বা স্তন্যপান করানোর মাধ্যমে মা ও সন্তান দুজনেই সুস্থ থাকে। মাতৃদুগ্ধই বাচ্চার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। ভেতর থেকে শক্তিশালী করে। অন্যদিকে স্তন্যপান করালেই কমে ব্রেস্ট ক্যান্সারের প্রবণতা। এছাড়াও প্রেগন্যান্সি পরবর্তী সময়ে ওজন কমে যদি নিয়মিত স্তন্যপান করানো যায়। স্তন্যপান করালে স্তনের আকার বিকৃত হয় এরকম ধারণা মোটেই ঠিক নয়।
Advertisement
কর্মজীবী মায়েদের ব্রেস্টফিডিংয়ের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। শিশুকে ব্রেস্টফিডিংয়ের জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায় না। রইলো ব্রেস্টফিডিং করাচ্ছেন এমন কর্মজীবী মায়েদের জন্য জরুরি কিছু টিপস। নিজে জানুন, অন্যকেও জানতে সাহায্য করুন-
নিতে হবে মানসিক প্রস্তুতি: সন্তান জন্মদানের আগে সবচেয়ে যেটা বেশি জরুরি, তা হলো মানসিক প্রস্তুতি। তাই সন্তান নিতে চাইলে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই মানসিক প্রস্তুতি নিন। আপনাকে কোন কাজগুলো করতে হবে, কীভাবে ম্যানেজ করবেন, সেসব ভেবে রাখুন। মা হচ্ছেন মানেই আপনাকে ব্রেস্টফিডিং বা স্তন্যপান করাতে হবে। আর এটা কোনো লজ্জার বিষয় নয়। তাই বাড়িতে অভিনয়ের মাধ্যমে ব্রেস্টফিডিং করানো অভ্যেস করুন।
বন্ধন তৈরি করুন: মায়ের সঙ্গে সন্তানের প্রথম বন্ধনটা তৈরি হয় ব্রেস্টফিডিংয়ের মধ্য দিয়ে। তাই অফিসের পর যেটুকু সময় পাবেন সেই সময় শিশুকে দেওয়ার চেষ্টা করুন। ব্রেস্টফিড করান। ছুটির দিনে পুরো সময়টাই বরাদ্দ রাখুন ছোট্ট সোনামনির জন্য।
Advertisement
ব্রেস্টফিডিং সম্পর্কে জানুন: মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটিয়ে আসার পরে অনেক মা ধীরে ধীরে ব্রেস্টফিডিং বন্ধ করে দেন। ভাবেন শিশুকে খাওয়ানোর সময় ঠিক থাকছে না বলে বোধ হয় দুগ্ধ উৎপাদন কমে যাবে। কিন্তু এরকমটা হয় না। যখনই সময় পাবেন শিশুকে খাওয়ান। শরীর নিজে থেকেই দুগ্ধ উৎপাদন করবে।
পরিকল্পনা করে মাতৃত্বের ছুটি নিন: ঠিক কতদিন আপনার আর সন্তানের জন্য প্রয়োজন তা আগেভাগেই হিসেব করে ছুটি নিন। অফিসে অযথা ছুটি না নিয়ে প্রয়োজনে ছুটি নিন। শিশুর সঙ্গে থাকুন।
সময়মতো কাজ করুন: কর্মক্ষেত্রে আপনার পারিবারিক কোনো সমস্যা যেন অন্যদের উপর প্রভাব না ফেলে সেদিকে খেয়াল রাখুন। নিজের কাজ নিজেই সারুন। পরিকল্পনা করে এগোন। সময়মতো খাওয়া এবং ঘুম যেন বজায় থাকে। অফিসের পর বেশিক্ষণ বাইরে না থাকার চেষ্টা করুন। বাড়ি ফিরেই শিশুর সঙ্গে দেখা করে কথা বলুন। এতে সে বুঝবে আপনার কাছে সন্তানের প্রাধান্যই সবচেয়ে বেশি।
এইচএন/পিআর
Advertisement